আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার : ত্রিপুরার প্রায় ১০৩২৩ জন স্কুল শিক্ষক যাদেরকে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর চাকরি থেকে ছাটাই করে দিয়েছিল তারা আবার চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পথে নেমেছেন।
জনপ্রিয় শত শত ছাঁটাই শিক্ষক বুধবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে চাকরি পুনরুদ্ধারের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে আন্দোলনে যোগ দেন।
চাকরি ছাটাই শিক্ষকদের অভিযোগ, তৎকালীন শিক্ষা পরিচালক কর্তৃক সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের ভুল ব্যাখ্যার কারণে ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর, ১০৩২৩ জন শিক্ষকের পদত্যাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন।
বুধবার সকালে যখন আন্দোলনকারীরা শিক্ষা ভবনের দিকে অগ্রসর হয়, তখন নিরাপত্তা বাহিনী ব্যারিকেড তৈরি করে তাদেরকে শিক্ষা বিভাগের অফিস কমপ্লেক্সের দিকে যাওয়ায় বাঁধা দেয়।
সেই সময় তারা সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন, পরে আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে এবং তাদের দাবি বোঝানোর চেষ্টা করে ও এই মাসের মধ্যে সমাধান করার আহ্বান জানায়।
দল শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার সময় ছাঁটাই শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল তিনটি বিষয় উত্থাপন করেছে। (১) তাদের কেন বরখাস্ত করা হচ্ছে তা পৃথক নোটিশ দিয়ে জানানো (২) প্রত্যেক শিক্ষকে সমাপ্তি পত্র প্রদান করা এবং (৩) তাদেরকে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
কিন্তু শিক্ষকদের প্রতিনিধিদলের কোন দাবি মেনে নেননি বিভাগীয় কর্মকর্তারা, পরে তারা পরিচালকের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং দাবি করেন যে যতক্ষণ না তারা উত্তরে সন্তুষ্ট হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ তাদের কক্ষ থেকে বের করে আনার চেষ্টা করলেও তারা কক্ষ থেকে বের হবেন না।
চার বছর আগে যে শিক্ষকরা ‘অ্যাডহক’ হিসাবে কাজ করছিলেন ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে ত্রিপুরা সরকারের মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের তৎকালীন পরিচালকের তারা তাদের উপার্জন হারিয়েছিলেন কারণ 23 ডিসেম্বর 2017 তারিখে ত্রিপুরা সরকারের মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের তৎকালীন পরিচালকের এক আদেশে চাকরি হারাতে হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষকদের একটি অংশও তাদের আগের নিজ নিজ স্কুলে গিয়ে যোগদানের চেষ্টা করেন। কিন্তু আদালতে মামলায় তাদের নিয়োগে বাঁধা থাকায় গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের যুগ্ম সচিব স্কুলের দায়িত্বে থাকা সমস্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের জানিয়ে দিয়েছে প্রার্থীদেরকে কোনো সুবিধা দেওয়া যাবে না।