জুলি দাস, করিমগঞ্জ, ২৩ সেপ্টেম্বর : রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা বেতন পাবেন ২৯ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজার আগে। গতকাল এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা নিজেই জানিয়েছেন,
কিন্তু করিমগঞ্জ পুরসভার সাফাই কর্মচারীদের নিজেদেরকেই বেতন-বোনাস সহ অনাদায়ী বিভিন্ন দাবি নিয়ে নিজেদেরকেই সরব হতে হয়েছে।
এ নিয়ে সুভাষনগরে ইউনিয়নের কার্যালয়ে শুক্রবার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের মুখ্য উপদেষ্টা পূর্ণিমা চৌধুরী সাফাই কর্মীদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
ইউনিয়নের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে–দূর্গাপুজোর আগে সাফাই কর্মীদের বকেয়া বেতন ও বোনাস প্রদান করা, অবিলম্বে কর্মীদের নুন্যতম মাসিক দশ হাজার টাকা বেতন দেওয়া, দ্রব্য মুল্যবৃদ্ধির মধ্যে বর্তমানে প্রাপ্ত বেতনে কর্মচারীদের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও, যেহেতু রাস্তা সাফাই ও ঝাড়ু পুরসভার কাজ, তাই ঝাড়ু, গ্লাভস্, গামবুট ও সাবান পুরসভাকেই দিতে হবে। সামান্য বেতনে এসব ক্রয় করে কর্মচারীদের হাতে আর কোন টাকাই থাকে না।
বিগত মাসগুলোতে সাফাই কর্মীদের ৪-৫ দিনের বেতন কাটা হয়েছে। সেই বেতনও পুজোর আগে সাফাই কর্মীদের দিতে হবে।
শান্তি রাউত বলেন যে, বাজারের কাজ অনেক কষ্টদায়ক। তবুও তারা একদিনও কাজ বন্ধ রাখেন না। তাসত্ত্বেও তাদের ৫ দিনের বেতন কাটা হয়েছে।
তাদের সেই বেতন অবিলম্বে দিতে হবে। কাকু হরিজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’, কিন্তু ১৫/২০ মাস থেকে বেতন বন্ধ থাকায় বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
সভায় উপস্থিত অনান্যরাও এক মত পোষণ করে বলেন, যদি তাদের দাবি অতিসত্বর না মানা হয় তাহলে তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ইউনিয়নের উপদেষ্টা বিষ্ণুপদ নাগ বলেন, পুরপতির সঙ্গে সাফাই কর্মীদের দুরবস্থার কথা তিনি আলোচনা করেছেন এবং পুরপতি তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে পুজোর পূর্বে সাফাই কর্মীদের যথাসম্ভব বেতন প্রদান করা হবে।