সিওয়ান, ৩০ এপ্রিল : বিহার এখনও অপরাধ জগত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এবার সিওয়ানের একটি বিব্রতকর ঘটনা সবাইকে চমকে দিয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, ঋণ পরিশোধ না করায় ৪০ বছর বয়সি দাবাং ১১ বছরের এক নাবালিকাকে জোরপূর্বক বিয়ে করে।
মেয়েটির মা ঋণ নিয়েছিলেন, কিন্তু এই ঋণের টাকা পরিশোধ কোর্টে না পারায় এই জঘন্য কাজটি সংঘটিত করেছে।
কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনও ঘটনার বিষয়ে পুরোপুরি নীরবতা পালন করে।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সিওয়ানের মাইরওয়া এলাকায়। মাইরওয়ার বাসিন্দা ওই মহিলা লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র পান্ডের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
মহেন্দ্র পান্ডের বয়স ৪০ বছর বলে জানা গেছে।
মহেন্দ্র মহিলাকে ঋণের টাকা ফেরত দিতে বললে তিনি তা ফেরত দিতে পারেননি। এরপর অভিযুক্ত তার ১১ বছরের মেয়েকে বিয়ে করেন। মেয়েটি বর্তমানে মহেন্দ্র পান্ডের বাড়িতে থাকে।
নাবালিকার মা জানান, লক্ষ্মীপুর গ্রামে তার এক আত্মীয় রয়েছে। মেয়েটির মা জানান, গ্রামের মহেন্দ্র পান্ডে তাকে বলেছিলেন যে তিনি তার মেয়েকে পড়াবেন।
পড়ানোর নামে মেয়েকে নিজের কাছে রেখে বিয়ে দেন। তিনি চান তার মেয়ে কোনোভাবে মহেন্দ্র পান্ডের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসুক।
অভিযুক্ত মহেন্দ্র পান্ডে সম্পর্কে বলতে গিয়েই গোলমাল কথা বলছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি ভুল করেছেন এবং তিনি শাস্তি ভোগ করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলছেন, নাবালিকাকে নিজের মেয়ে হিসেবে নিজের কাছে রেখেছেন, সে যে কোনও জায়গায় যেতে পারবে।
নির্যাতিতা নাবালিকাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, মা মহেন্দ্র পান্ডের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কত টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। পান্ডে ঋণ ফেরত দিতে বললে মা মেয়েকে তার বাড়িতে রেখে যান।