আলোচনায় হাফ ডজনের বেশী নাম
নেশন্যাল ডেক্স, গণআওয়াজ : আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি রামলালা ময়দান অনুষ্ঠিত হবে দিল্লীর নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ময়দানের আশেপাশে মোতায়েন করা হবে ৫,০০০ এরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী।
এরমধ্যে ১০টিরও বেশি আধাসামরিক বাহিনীর কোম্পানি মোতায়েন করা হবে। রামলালা ময়দানের চলমান প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন বিজেপির সিনিয়র নেতারা।
ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের তথ্য অনুসারে, অনুষ্ঠানটি সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে, নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরাও রামলীলা ময়দানে শপথ নেবেন। তার আগে, আজ মুখ্যমন্ত্রী পদের নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহেব সিং ভার্মার ছেলে প্রবেশ ভার্মা। তিনি এই নির্বাচনে আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
তার পরে উঠে আসছে বিজেপির দিল্লি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আশিস সুদ-এর নাম। তিনি জনকপুরী আসনে আপ প্রার্থী প্রবীণ কুমারকে প্রায় ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

এরপর যাদের নাম চর্চিত হচ্ছে তারা হলেন, রেখা গুপ্তা, বিজেন্দ্র গুপ্ত, সতীশ উপাধ্যায়, জিতেন্দ্র মহাজন ও শিখা রায়।
রেখা গুপ্তা ও জিতেন্দ্র মহাজন আরএসএসের সাথে যুক্ত। রেখা ২০১৫ সাল থেকে শালিমারবাগ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার তিনি প্রথমবারের মতো বিধায়ক হয়েছেন।
জিতেন্দ্র মহাজন বৈশ্য সম্প্রদায়ের, তিনি ২০২০ সাল থেকে রোহতাস নগর আসন থেকে জয়ী হয়ে আসছেন।
এছাড়া, বিজেন্দ্র গুপ্ত ও সতীশ উপাধ্যায় দুজনই বিজেপির প্রবীণ নেতা।
বিজেন্দ্র ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দিল্লি বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন এবং ২০১৫ সাল থেকে রোহিণী আসনের বিধায়ক।
অন্যদিকে সতীশ উপাধ্যায় হলেন, দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। এই নির্বাচনে তিনি মালব্য নগর আসন থেকে আপ বিধায়ক সোমনাথ ভারতীকে পরাজিত করেছেন।
শিখা রায়ও গ্রেটার কৈলাস আসন থেকে আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজকে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, দলের অনেকেই বিশ্বাস বিজেপি নেতৃত্ব দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন কোনও নাম বেছে নিতে পারেন। রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়েও দলটি একই কৌশল গ্রহণ করেছিল।