শালচাপড়া, ২৪ নভেম্বর : শালচাপড়া রেলওয়ে ইয়ার্ডের পন্য বাহী লরির জন্য বন্দুকমারা পূর্ত সড়ক এবং ৩৭ নং জাতীয় সড়কে প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। বিগত বৎসর খানিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে।
এই সমস্যার ব্যাপারে স্মারকপত্র দিয়ে রেলওয়ে বিভাগ সহ কাছাড়ের জেলাশাসক, শিলচারের সাংসদ, বড়খলা সমষ্টির বিধায়ক সবাইকে অবগত করালে ও কোন কাজ হয়নি, এমনকি কোন সদ উত্তর ও পাওয়া যায়নি।
কিন্তু এবার এই যানজট সহ বরাক উপত্যকার বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে মুখ খুললেছেন শালচাপড়ার সচেতন নাগরিকরা।
২৩ নভেম্বর স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা ফের রেলওয়ে বিভাগ সহ প্রশাসনিক স্তরে স্মারকপত্র দেন। এদিনের স্মারকপত্রে তারা উল্লেখ করেন যে রেলওয়ে ইয়ার্ডের গেট থেকে রেলওয়ের দক্ষিণ পাশে রেলের খাস জমিতে একটি রাস্তা নির্মাণ করে নিলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
কারণ এখানে সৃষ্ট এই সমস্যা শুধু শালচাপড়া এলাকার নয়, গোটা বরাক উপত্যকার।
৩৭ নং জাতীয় সড়ক এবং বন্দুকমারা পূর্ত সড়কে শালচাপড়া রেলওয়ে ইয়ার্ডের পন্যবাহি লরি রাখার কারণে ট্রাফিক সমস্যা অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।
বরাক উপত্যকার তিন জেলার যাত্রীবাহী গাড়ি সহ অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও এই সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় এবং বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার ও সম্মুখীন হতে হয়।
এছাড়াও আসাম সরকারের কাছে শালচাপড়ার সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন, কোথায় গেল মাল্টি মডেল লজিস্টিক পার্ক? কোথায় গেল কাছাড়ের ডলু চা বাগানের গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্ট? কোথায় গেল পাঁচগ্রামের কাগজ কল?
এসব ভুলে বরাক উপত্যকার জনগণ যখন যানজট সমস্যা নিরসনে শালচাপড়া রেলওয়ে ইয়ার্ড থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত রেলের খাস জমিতে একটি রাস্তা নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছেন সেটাও পুরন করতে ব্যর্থ। এদিনে সরকারের এই ব্যর্থতা সরব হন শালচাপড়ার শঙ্কর শীল, আদিত্য গিরি বড় পাত্র সিনহা, নিতিশ রঞ্জন দাস, অপু দাস, ফারুক আব্দুল্লাহ লস্কর, জাকির হোসেন লস্কর, ডালিম হুসাইন বড়ভূইয়া, আবু বক্কর লস্কর, মিসির আলী তালুকদার প্রমূখ।