কেওনঝার, ২২ জানুয়ারি : ওডিশার কেওনঝার জেলায় গণধর্ষিতা এক মহিলার অভিযোগ তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ১২ ঘন্টা একটি পুলিশ ভ্যানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সোসো থানায় গণধর্ষণের একটি মামলা দায়েরের পর জেলার আনন্দপুর মহকুমায় ঘটনাটি ঘটেছে।
৩৭ বছর বয়সী মহিলাকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে আনন্দপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে ডাক্তাররা তার পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন, কারণ অপরাধের স্থানটি সালানিয়া কমিউনিটি হেলথ সেন্টার এলাকার অধীনে ছিল।
পরে ওই মহিলাকে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা সালানিয়া সিএইচসিতে নিয়ে যান, কিন্তু সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য কোন মহিলা ডাক্তার না থাকায় তাকে পুলিশ ভ্যানেই বসে থাকতে হয়।
পুলিশ ওই মহিলাকে আবার আনন্দপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক পরীক্ষা করেন।
মহিলা বলেন, তাঁকে বলা হয়েছিল যে রাতের সময় সম্পূর্ণ ডাক্তারি পরীক্ষা করা যাবে না, শুক্রবার আবার আসতে বলা হয়েছিল। অবশেষে শুক্রবার মহিলার সম্পূর্ণ মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে।
সোসো থানার ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ প্রদীপ কুমার শেঠি বলেছেন, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে মেডিকেল পরীক্ষায় দেরি করিনি, সেখানে মহিলা চিকিৎসক না থাকায় আনন্দপুর সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়, অনিবার্য সমস্যার মধ্য দিয়ে যাই সেখানে গিয়েছি।
মহিলার স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পুলিশ ৪০ কিলোমিটার দূরে আনন্দপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে সোসো থানায় নিয়ে আসে।
কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য যে, গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ১৮ জানুয়ারি (বুধবার) যখন ওই মহিলা তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিল।
তিন যুবক তার চাচাতো ভাইকে লাঞ্ছিত করে মহিলাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং দুষ্কৃতীরা পালা করে তাকে গোহিরাবাই এলাকায় ধর্ষণ করে, মহিলা তার এফআইআরে বলেছেন। তদন্ত চলছে, কিন্তু কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।