সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ১৩ ফেব্রুয়ারি : দুল্লভছড়া স্টেশন রোডের মডেল কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রবেশ মূখে ১৯০৩ সালে শ্রী শ্রী রাম জানকী মন্দির স্থাপনের জন্য স্থানীয়রা সাড়ে বার বিঘা জমি দান করেছিলেন।
কিন্তু বর্তমানে এই জমি বেদখল হয়ে কমে দাঁড়িয়েছে অনুমানিক এক বিঘায়।
আজ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদী সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
কমিটির সম্পাদক রামেন্দ্র সিনহা বলেছেন, পূর্বের কমিটির সদস্যরা মন্দির গৃহ নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করলেও তা মন্দিরের কাজে ব্যবহার না করার অভিযোগ করেন।
যার কারনে মন্দিরটি দীর্ঘ বছর জরা জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষ করে বর্ষাকালে আশপাশের নর্দমার জল মন্দিরে ঢুকলেও সে সময়কার মন্দির কমিটির সদস্যরা তা সংস্কারের জন্য কোন ব্যবস্থা নেন নি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য বারুনী পূজা উপলক্ষে দীর্ঘ বছর থেকে বিভিন্ন রাজ্যের ধর্ম প্রাণ মানুষ রাম জানকী মন্দিরে এসে রাত্রি যাপন করেন।
পূর্বে মন্দিরের পাশের নিজস্ব পুকুরে স্নান করে ধর্মপ্রাণ মানুষ পূজার করতেন।
কিন্তু বর্তমানে মন্দিরের পাশে কতিপয় ব্যক্তি পুকুরের জল নিষ্কাশন করে মাটি ভরাট করতে গেলে বর্তমান কমিটি প্রতিবাদ জানায়।
কমিটি কাজ বন্ধ করা সহ রাম জানকী মন্দিরের করুণ দশার চিত্র সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন।
কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভক্তরা মন্দির নির্মাণের জন্য এই সাড়ে বারো বিঘা জমি দান করেলেও বে-দখলকারিরা আত্মসাৎ করে নিয়েছে।
ভূমি আত্মসাতের কারনে পূর্বের স্থাপন করা রাম সীতা, হনুমান ও মনসা দেবীর মূর্তিও বিলুপ্ত হয়েগেছে।
এরজন্য কমিটির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
মন্দিরের জমি দখলমুক্ত করতে রামকৃষ্ণনগর সার্কেল অফিসারের দেখা করে লিখিত ভাবে দাবি জানানো হলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি বলে জানান কমিটির সদস্যরা।
মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পুরাতন মন্দিরকে পুনরায় সাজিয়ে তুলতে করিমগঞ্জ সাংসদ কৃপানাথ মালা দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন, তা দিয়ে মন্দির সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে ।
তবে মন্দিরের জমি এবং পুকুরটি ধর্মপ্রাণ মানুষ ও মন্দিরের পূজার কাজের প্রয়োজনে পুনঃরোদ্ধার করে কমিটিকে সমঝে দিতে রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী ড: হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে অনুরোধ জানান।
এছাড়া করিমগঞ্জ জেলা উপয়ুক্ত, রামকৃষ্ণনগর সার্কুল অফিসার, রাতাবাড়ি সমষ্টির বিধায়ক বিজয় মালাকার সহ রাতাবাড়ি পুলিশ প্রশাসনকেও কমিটির কর্মকর্তারা অনুরোধ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামেন্দ্র সিনহা, প্রদীপ বড়ুয়া, অপু মজুমদার, মিন্টু দাস, শ্যামল ভৌমিক, রবি শব্দকর, বিশ্বজিৎ সিনহা, বিশ্বজিৎ কোহার, বিজিৎ সাহু, রিপন পাল, সৌরভ দে, প্রমুখ।