সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ১৩ ফেব্রয়ারী : ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ এই বাক্য গুলির উপর নির্ভর করে সাধারণ মানুষ বিগত নির্বাচনে উজাড় করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন।
রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে বিজেপি সরকারও গঠন করেছে। কিন্তু একমাত্র সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া সাধারণ মানুষের উপর প্রতি নিয়তই রোলার চালাচ্ছে।
সরকারের সুবিধাভুগি কর্মচারীরাও চাকরীর শর্ত ভুলে দায়বদ্ধ হীনতার মত বিভিন্নভাবে জুলুম চালাচ্ছে।
এই অভিযোগ, রাতাবাড়ী বিধানসভার দুল্লভছড়ার পশ্চিম কৃষ্ণনগর গ্রামের দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী রামানন্দ সিনহার।
তিনি এভাবেই দুল্লভছড়া এপিডিসিএল এর এক ভুতুড়ে বিল প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন।
দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পশ্চিম কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা রামানন্দ সিনহার ঘরে প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি প্রথম অবস্থায় একশত টাকার মধ্যে বিল প্রদান করেছেন। কিন্তু, বর্তমানে তাকে চার ইউনিটর বিদ্যুতের বিল দেওয়া হচ্ছে ২৫২ টাকা, এবং সাত ইউনিটে ৩১৮ টাকা।
তাঁর মিটার নম্বর ১৩৯০০০০২০৭৫৭। এছাড়াও অন্যান্য বিদ্যুৎ গ্রাহকরাও অভিযোগ করেছেন, তাদের ব্যবহার করা বিদ্যুতের ইউনিটের সঙ্গে টাকার গরমিল রয়েছে।
ভুক্তভুগি জনগণ বিভাগীয় আধিকারিকের সঙ্গে কয়েক বার সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।
রামানন্দ সিনহা গণ আওয়াজ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বিভাগীয় এক কর্মী বিদ্যুৎ বিল ফ্রি করে দেওয়ার নামে তাঁর উৎকোচ দাবি করেছিলেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দৌড়ঝাপ করলে নিজের বিল কর্তন করে নিতে পারতেন, কিন্তু উক্ত এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক একইভাবে বিভাগীয় করতিপক্ষ বিল আদায় করছে।
এমনকি গ্রামে অনেক ভুয়া বিল ধরে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কর্তন করারও অভিযোগ করেন তিনি।
কর্মীদের এই ভুতুড়ে বিলের কারণে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তাছাড়া বেলা ১১ টার আগে অফিসে কোন কর্মী না আসারও অভিযোগ করেন তিনি।
এব্যাপারে বিহিত ব্যবস্থার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও রাতাবাড়ি বিধায়ক বিজয় মালাকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গ্রহকেরা।