কাঠিগড়া থেকে রূপক নাথ, ১৮ সেপ্টেম্বর : অসম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা সংস্থার ২য় জেলা সম্মেলন সম্পন্ন হল বিহাড়ায়।
এ উপলক্ষে রবিবার বিহাড়া দেশবন্ধু ক্লাবে অসম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা সংস্থার পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন গৌহাটি থেকে আগত সেন্টার অব ইণ্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন অর্থাৎ সিটু-র রাজ্য কমিটির সম্পাদিকা কমরেড ইন্দিরা নেওগ।
পরে সিটুর পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি কমরেড সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। এরপর বের হয় এক বিশাল প্রতিবাদী মিছিল।
প্রায় তিন শতাধিক মহিলা অংশ নেন এই মিছিলে এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন। এদিন মিছিলটি বিহাড়ার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে দেশবন্ধু ক্লাবে এসে শেষ হয়।
মিছিলের পর বিহাড়া দেশবন্ধু ক্লাবের বিদ্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিটুর রাজ্য নেতৃত্ব ইন্দিরা নেওগ। তিনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বলেন, দীর্ঘ লড়াই করার ফলে দেশ ব্যপী শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠেছে।
এই সংঘটন সরকারী কর্মচারীদের স্বীকৃতির দাবিতে, সমাজিক সুরক্ষা ও অন্যান্য দাবিতে সর্বস্তরে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
তিনি বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্যে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার শ্রম আইনকে কোডে পরিবর্তন করে এক দিকে শ্রমিকের অধিকার হরণ করছে, অন্য দিকে নয়া শিক্ষা নীতির নামে অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্প ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে।
তিনি সমস্ত আঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকাদের অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী আন্দোলনের আহ্বান জানান। রাজ্য কমিটির আরেক নেত্রী রত্না শুর প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন।
এ ছাড়াও সিটুর পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, অভিজিত গুপ্ত প্রমুখ। তারা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ক্রীতদাসের মত কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ করেন।
বিভাগীয় দুর্নীতির দায় কর্মীদের ওপর চাপানো সহ সাম্মানিকের নামে নূন্যতম মজুরিতে কাজ করানো হয় বলে মত প্রকাশ করেন তারা।
বক্তাদের মধ্যে সিটুর অভিজিত গুপ্ত ও অভ্যর্থনা সমিতির সভানেত্রী শিবানি দেব ব্যাপক গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এদিনের সম্মেলনে দুই জেলার ১৩০ জন প্রতিনিধি ও দুই শতাধিক কর্মী সহায়িকারা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে সম্পাদকীয় ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদন পাঠ করেন যথাক্রমে ঝর্না দাস ও প্রীতিলতা সিনহা। স্বপ্না বেগম, গায়ত্রী ভট্টাচার্য, দীপ্তি সিনহা, মণিকা চক্রবর্তী ও বাসন্তী ঝা-র পরিচালিত এদিনের সম্মেলনে ঝর্না দাস-কে সভাপতি ও দীপ্তি সিনহা-কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ২৭ সদস্যের নূতন জেলা কমিটি গঠন করা হয়।