সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি : মিটার রিডার-এর উপর আনা অভিযোগ খন্ডন করলেন দুল্লভছড়া সাব ডিভিশনের আধিকারিক রত্নদ্বীপ দাস।
তিনি বলেন, দ্ররিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী লোকদের জীবন ধারা যোজনার মাধ্যমে বীনা মূল্য বিদ্যৎ সংযোগ এবং ৩০ ইউনিট ফ্রি করার সিদ্বান্ত নিয়েছিল সরকার।
কিন্তু প্রায় এক বছর পূর্বে ‘ফ্রি’ সিদ্ধান্তটি বাতিল করলেও গ্রাহকরা তা না জেনেই বিভাগীয় কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে আক্রমন করছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুল্লভছড়ার পশ্চিম কৃষ্ণনগর গ্রামের এক গ্রাহক রামানন্দ সিনহা (Consumer no-139000020757) বিভাগীয় মিটার রিডার নির্মল সিনহার উপর উৎকোচ দাবি করা সহ অত্যধিক বিল আদায়ের অভিযোগ আনেন।
আজ পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে দুল্লভছড়ার এপিডিসিএল-এর সাব ডিভিশনের এসডিও রত্নদ্বীপ দাস এই অভিযোগ খণ্ডন করেন।
তিনি বলেন, রামানন্দ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোধিত ভাবে অপপ্রচারের জন্য এই সংবাদ পরিবেশন করেছেন।
এসডিও রত্নদ্বীপ বলেছেন, রামানন্দ সিনহার ঘরে এপিডিসিএল ২০১৮ সালে বিদ্যুৎ সংযোগ করেছে এবং তিনি বিদ্যুৎ মাশুল ২২০ টাকা দিয়েছেন ২০২০ সালের জুলাই মাসে।
এরপর আর কোন বিদ্যুৎ মাশুল দেন নি।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরের বিল সহ ফেব্রুয়ারি মাসের ৬৫ টাকা এবং চার্জ মিলিয়ে তার বকেয়া হয়েছে ৩১৮ টাকা।
তাছাড়া আসামে সব জেলায়ই একই ভাবে সফ্ট ওয়ারের মাধ্যমে বিল প্রদান করা হয়, এতে কোন মিটার রিডার বিল কমানোর নামে উৎকোচ দাবী করা সম্পূর্ণ অযোক্তিক।
এসডিও রত্নদ্বীপ বলেন, কারন কার পক্ষে সফ্ট ওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ইউনিট পরির্বতন করা সম্ভব নয়।
তিনি অফিসে কর্মীরা বিলম্বে আসার অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানে কর্মীদের দুর পাল্লায় গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। তবে সকাল ১১ টার পর অফিস খোলার কথা মানতে নারাজ এসডিও রত্নদ্বীপ দাস।