রাজ্যে শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান
আগরতলা, ৪ মার্চ : নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় বামফ্রন্ট অভিযোগ করে বলেছে ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি যে ভাবে সহিংসতা চালিয়েছিল ২০২৩–এর সালের নির্বাচনের পর থেকে একইভাবে চালাচ্ছে।
প্রেস বিবৃতিতে বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেছেন, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলগুলি ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের জয়ী আসন সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রত্যাশিত ছিল।
গত পাঁচ বছরের ত্রিপুরার দুঃশাসনের মুখে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের অভিব্যক্তির সঙ্গে এই ফলাফল বেমানান।
ভোটের ফলাফল স্পষ্টভাবে দেখায় যে ত্রিপুরার ৬০ শতাংশ ভোটার বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। এটা সরকারের প্রতি জনগণের সবচেয়ে বড় অংশের অবিশ্বাসের লক্ষণ।
কিন্তু বিভিন্ন অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিজেপি-বিরোধী ভোটের বিভাজনের কারণে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করতে পেরেছে এবং সরকার গঠনের সুযোগ নিচ্ছে।
বামফ্রন্ট অ-বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের সম্মান এবং প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রে ফলাফল বিজেপির বিরুদ্ধে যাচ্ছে দেখে গণনা এবং ফলাফল ঘোষণাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল।
কয়েকজন অ-বিজেপি প্রার্থীও আক্রমণের মুখে পড়েন।
সময়ের সাথে সাথে এই আক্রমণ গণনা কেন্দ্রের বাইরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে ক্রমাগত শারীরিক আক্রমণ হয়।
আহতদের হাসপাতালে দেখতে যেতেও বাধা দেয় তারা। তারা বাড়িঘর-দোকান-রাবার বাগান-খামার ইত্যাদিতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করে।
অনেক জায়গায় বিজেপির গুন্ডা লোকদের দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করে এবং টাকা আদায় করে বামফ্রন্ট নেতার অভিযোগ করেছেন।
নির্বাচনে জয় ও পরাজয় হবেই, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে মেনে নিতে হবে এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে বিজেপি যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল তা ২০২৩ সালের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।
বামফ্রন্ট সরকার, মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের নেতৃত্বকে অবিলম্বে সন্ত্রাসবাদ বন্ধে সহায়ক ভূমিকা নেওয়ার আবেদন করে সারা রাজ্যে শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।