ধর্মনগর প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : চাকুরী নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাস্তার কাজে ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়ালেন কাঞ্চনপুর এমডিসি স্বপ্না দাসের শিক্ষক-ঠিকাদার স্বামী নিরেশ দাস।
জানা যায়, কাঞ্চনপুর-জলাবাসা-ধর্মনগর বাইপাসের রাস্তার জয়শ্রী বাজার সংলগ্ন থেকে উওর লালজুরি নবজয় পাড়া পর্যন্ত ছয় কিঃ মিঃ সংস্কারের বরাত পেয়েছিলেন নিরেশ।
এই কাজটির জন্য কাঞ্চনপুর পূর্তদপ্তর ২৪ লক্ষা টাকা বরাদ্দ করেছিল।
কিন্তু এলাকাবাসীরা অভিযোগ, ছয় কিঃ মিঃ রাস্তা সংস্কারের জন্য এই বৃহৎ পরিমানের অর্থ বরাদ্দ হলেও নিরেশ নিম্নমানের কাজ করে পুরোটাই হাতিয়ে নিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংস্কারের আগে রাস্তাটি যেমন ছিলো, সংস্কার কাজের দু-মাসের মাথায় ঠিক একই অবস্থা ধারণ করেছে।
তাদের প্রশ্ন, সরকারি টাকায় রাস্তার সংস্কার না নিজের পকেট ভারি করতে বরাত দেওয়া হয়েছিল নিরেশকে?
স্ত্রী এমডিসি হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক দাপট খাটিয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি ঠিকাদারির খাতায় নাম লিখিয়ে সরকারি টাকার লুণ্ঠন চালিয়ে যাচ্ছেন নিরেশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ অনুসারে স্ত্রী সপ্না এমডিসি নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন দুর্নীতীতে জড়িয়ে পড়েছেন নিরেশ দাস।
একাধিক দুর্নীতির টাকায় নিরেশ এবং তার স্ত্রী স্বপ্না জয়শ্রী এলাকার বাড়িটি পরিত্যক্ত রেখে কাঞ্চনপুরে আলিসান রাজপ্রসাদ তৈরি করে বসবাস করছেন।
যদিও জয়শ্রীর বাড়িতে বর্তমানে কেউই থাকেন না, অথচ ওই বাড়িতেই সরকারি টাকায় নির্মাণ করা জলের ট্যাংক।
এমডিসি হওয়ার সুবাদে জয়শ্রীবাসীদের বঞ্চনা করে সব ধরণের সরকারী সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে নিচ্ছেন নিরেশ-স্বপ্না জুটি।
এতদিন কেন তারা এব্যাপারে প্রতিবাদ জানান না, এই প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয়রা জানান ভয়ে তারা মুখ খোলার সাহস করেননি।
কিন্তু, বর্তমানে এই জুটির একের পর এক দুর্নীতিতে তারা নাজেহাল হয়ে উঠেছেন তাই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন। এদিকে সামনেই এডিসি নির্বাচন, এই নির্বাচনের প্রাক্কালে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় বেকায়দায় পড়তে পারে শাসক দল।