আগরতলা, ২২ মার্চ : পুলিশ মহাপরিচালক অমিতাভ রঞ্জনের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার এবং
উদয়পুরে সিপিআইএম কর্মীকে যারা আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ত্রিপুরা পুলিশ মহাপরিচালককে চিঠি লিখলেন সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির সম্পাদক তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
চিঠিতে চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ২১ মার্চ উদয়পুর মহকুমার মাতাবাড়ির কাছে একজন নির্দোষ সিপিআইএম কর্মীকে গুরুতর ভাবে আক্রমন করা হয়েছে।
রাজ্যের অনেক সিপিআইএম সমর্থকদের মত জিরানিয়া মার্কেটের অসীম সাহা নামে এক কর্মীকেও বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
চৌধুরী অভিযোগ করেন ২১ মার্চ, যখন অসীম সাহা মাতাবাড়ি এলাকায় তার নিয়মিত কাজে যাচ্ছিলেন, তখন জিরানিয়া এলাকার একদল বিজেপি কর্মী তাকে দেখতে পায়।
তারা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সাথে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিল।
বিজেপি কর্মীরা অসীমকে দেখে গাড়ি থেকে ধরে রাস্তার উপর নির্দয়ভাবে মারধর করে এবং মারা গেছে ভেবে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় কয়েকজন তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠায় সেখান থেকে তাকে আগরতলায় রেফার করা হয়। এখন তিনি আগরতলার আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বয়ং মন্ত্রীর উপস্থিতে তাঁর সামনে অনুগামীরা এরকম ঘটনা সংগঠিত করলেও বাধা না দেওয়ায় এই অপরাধে মন্ত্রী সরাসরি জড়িত ছিলেন অভিযোগ করেন চৌধুরী।
চৌধুরী তার চিঠিতে দাবি করেছেন যে অসীম সাহা তার উপর হামলাকারী চারজনকে সনাক্ত করেন, যারা বৈশ্য পাড়ার রতন সাহা, রথীন্দ্র শীল, চিত্তরঞ্জন পল্লীর বিজন সাহা, বিপ্লব সাহা হিসাবে পরিচিত।
তিনি অভিযোগ করেন যে রাজ্যে এই ধরনের শত শত গুরুতর অপরাধের ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানায় নিবন্ধিত না থাকায় দুর্বৃত্তরা পুলিশের সামনেও অপরাধ করতে মরিয়া হয়ে উঠছে।
জিতেন্দ্র চৌধুরী চিঠিতে লিখেছেন, আমি আপনাকে এই চিঠিটিকে এফআইআর হিসাবে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী তাদের বিচার করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিচ্ছি।
অন্য সহযোগীদের শনাক্ত করার জন্য পুলিশ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সাহায্য নিতে পারে, যিনি তার সহযোগী হিসেবে দুর্বৃত্তদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আমার চিঠির উপর গৃহীত পদক্ষেপের প্রতিবেদন আমাকে অবহিত করার জন্য আপনার প্রান্ত থেকে একটি লাইনের জন্য আমি অপেক্ষা করব।