৯০১ নং কৃষপুর এলপিস্কুলের ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের আন্দোলনে যাওয়ার হুসিয়ারি
সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ১০ এপ্রিল : শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, কিন্তু বাস্তবে সেই মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়ারা।
একাংশ প্রধান শিক্ষক, বিভাগীয় আধিকারিক ও সরকারি নিয়মাবলীর কারণেই শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়ারা মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
যা বর্তমান শাসকদল এবং বিগত দিনের শাসক কংগ্রেস দলের সঙ্গে মিল রয়েছে।
বিশেষ করে রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খণ্ড যেন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে দিনের পর দিন।
প্রায় স্কুল গুলিতে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের সঙ্গে কাজের অনেক গরমিলের অভিযোগ শুনা যায়।
তবে রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খন্ডের অধীনে থাকা ৯০১ নং কৃষ্ণপুর এলপিস্কুলটি যেন সরকারি অর্থ লোপাটের কেন্দ্র ভুমিতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাতাবাড়ি বিধানসভার ৯০১ নং কৃষ্ণপুর স্কুলটি উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
এই স্কুলে দীর্ঘ পানীয় জল, এক বছর থেকে মধ্যাহ্ন ভোজন, বিদ্যুৎ পরিষেবা, শৌচালয় সহ খেলাধুলার সামগ্রী কিছুই নেই।
ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা বিভাগীয় সিআরসি কাছে জানাতে চাইলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে রাজী না হওয়ায় ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে সন্দেহের আবর্তে রয়েছেণ।

তারা আরও বলেন যে, ২০২২ অর্থ বছরের স্কুলে একটি রিং কূয়া নির্মাণে ১,১৮০০০ (এক লক্ষ আটারো হাজার) টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক চিনিকান্ত সিনহা পুরাতন রিং কোয়ায় ১০ হাজার টাকার মতো খরছ করেন যা ব্যবহারে অনুপযোগী।
২০২৩ সালের গুনউৎসবের আগে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে স্কুল তহবিল থেকে ৫৫০০০ হাজার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্ট বহি নির্মাণের জন্য ২৫০ টাকা আদায় করে গোটা অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা।
তাছাড়া স্কুলটিতে মাত্র ১১৫ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও শিক্ষক রয়েছেন চারজন- প্রধান শিক্ষক চিনিকান্ত সিনহা, সহ শিক্ষক কমরুজ্জামান, অর্পিতা দাস ও নিলা মজুমদার।
যারা করিমগঞ্জের বাসিন্দা তবে কমিটির অনুমতি নিয়ে স্কুলে গড়হাজির থাকেন এবং দু’জন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করেন।
এদিকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেনই না।
একদিকে সরকারি গাইড লাইন তো অন্যদিকে শিক্ষকদের উদাসীনটায় ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে অভিভাবকদের স্বাক্ষর করা স্মারকপত্র করিমগঞ্জের অতিরিক্ত জেলাশাসক, রাতাবাড়ির বিধায়ক, রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খন্ড আধিকারীক এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
উক্ত স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।
এর পিছনে রামকৃষ্ণ নগর শিক্ষা খন্ড আধিকারিক ও সিআরসি সহ পরিচালন সমিতির সভাপতি জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন অভিভাবকরা। তাই অভিভাবকরা হুসিয়ারি দিয়ে বলেন, এব্যাপারে অতিসত্বর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।