নয়াদিল্লি, ১৬ এপ্রিল : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় এসওপি তৈরি করা হবে।
কারণ আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তিন ব্যক্তির হাতে নিহত হয়েছেন।
উমেশ পাল হত্যা মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকা মাফিয়া আতিক আহমেদ ও আশরাফকে শনিবার গভীর রাতে ক্যালভিন হাসপাতালের কাছে খুন করা হয়।
দুজনকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ক্যালভিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গুলি চালানো হয়।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অজ্ঞাত যান থেকে আসা আততায়ীরা আত্মসমর্পণ করে।
এদিকে প্রয়াগরাজ জেলার সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি আরএএফকেও ডাকা হয়েছে।
এই ঘটনার কিছুদিন আগে উমেশ পাল হত্যা মামলার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ধুমনগঞ্জ রাজেশ কুমার মৌর্য পুলিশ দল নিয়ে আতিক ও তার ভাই আশরাফকে কাসারী মাসারি এলাকায় নিয়ে যান।
নাতে তিরাহে ঝোপের মাঝখানে অবস্থিত ভগ্নপ্রায় বাড়িতে একটি ব্যাগে লুকিয়ে রাখা গোলাবারুদ ও কার্তুজ উদ্ধার করে আতিক।
পাঁচটি কার্তুজে পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (পিওএফ) চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আতিক আরো জানান, তার ইশারায় অস্ত্র ও কার্তুজগুলো লুকিয়ে রেখেছিল দুর্বৃত্তরা। কোল্ড পিস্তলটি প্রায় ১০ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ফাঁপা পিস্তল পাওয়া গেছে, যা উদ্ধার করা পিস্তলের সঙ্গে মিল রয়েছে।
এখান থেকে আতিক ও আশরাফকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সাড়ে ১০টায় তাদের ক্যালভিন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।
এসময় আতিক ও আশরাফ গুলিবিদ্ধ হন।