কানপুর, ২০ এপ্রিল : কানপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছে আরিফ বলল- ‘খাঁচা থেকে সারস বের করা যায় না?’
উত্তরপ্রদেশের পাখি সরস ও আরিফের বন্ধুত্বের কথা সবাই শুনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর লোকেরা এই বন্ধুত্বকে জয়-বীরুর নামও দিয়েছিল।
সারস তার বন্ধুর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর খুব বিরক্ত হয়। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে আরিফের কাছে সারস উড়ে এসেছে।
তবে কানপুরের চিড়িয়াখানায় এখনও সারস রয়েছে। আরিফ তার বন্ধু সরসের সাথে দেখা করতে কানপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছে।
আরিফের চিড়িয়াখানায় পৌঁছানোর ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরিফ সারসের ঘেরের কাছে পৌঁছতেই সারস খুশিতে কিচিরমিচির করতে লাগল।
সারস খুব অস্থির হয়ে উঠে। আরিফের সাথে দেখা করার জন্য সে কত দিন অপেক্ষা করছে।
সারসের কাছে পৌঁছতেই আরিফ তাকে ডাকতে শুরু করে। আরিফ সারসকে বলল, চিনতে পেরেছ? একথা শুনে সারস তার ঘেরের ভিতর লাফাতে শুরু করল।
এরপর সেখানে উপস্থিত লোকজনকে আরিফ প্রশ্ন করেন, খুলতে পারছেন না? আরিফ এবং সারস দুজনেই একে অপরের সাথে দেখা করার জন্য মরিয়া ছিল।
আরিফ ঘেরের ভেতরে থাকা সারসকে একবার লাফ দিয়ে দেখাতে বলল। আরিফ একথা বলার সাথে সাথে সারসটি তার ছোট ঘেরের ভিতর উড়তে শুরু করে।
এরপর সেখানকার বন কর্মচারীরা আরিফকে বলেন, এখন যাই নাহলে সে আঘাত পাবে। যাওয়ার সময় আরিফ সরসকেও বলেছিল যে সে আবার খুব তাড়াতাড়ি সরসের সাথে দেখা করতে আসবে।
এর আগে সরসের কারণে ভাইরাল হয়েছিলেন আরিফ। পরে ইউপি বন বিভাগ সারসটিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
সেখান থেকে সারস চলে গিয়েছিল বি সাইয়া গ্রামে। এখানে কিছু লোক তাকে কুকুরের হাত থেকে বাঁচিয়েছে।
এরপর আরিফ সারস ফিরে পেয়েছেন বলে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লেও আরিফ নিজেই তা অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি জাতীয় সংবাদে পরিণত হয়েছে। আরিফের সাক্ষাৎকার নিয়েছে লালনটপও। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আরিফ।