শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর : দিনদুপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ এবং ওই ছাত্র সাহসিকতার সঙ্গে পালিয়ে আসার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে হাইলাকান্দি সহ করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি বিধানসভা এলাকায়।
ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে শনিবার বিকেলে।
এদিন বিকেলে দুই অচেনা লোক হাইলাকান্দি জেলার বাসবাড়ি কৌমিয়া মাদ্রাসার কাছে এসে শিক্ষার্থী বছর চৌদ্দর ইমরান আহমেদ লস্করকে ডেকে নিয়ে যায়।
তাঁর কাছে কিছু টাকা দিয়ে পাঁচশত টাকা মাদ্রাসায় দিতে এবং বাকি টাকা তাকে খরচ করতে বলে।
কিন্তু অপহরণকারীরা যখন ইমরানের সঙ্গে কথা বলছিল সেই সময় ইমরান অজ্ঞান হয়ে যায়, আর কিছুই বলতে পারেনা।
যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে সেই সময় চোখ খুলে দেখতে পায় সে একটি বাসের কাঁচা ভাঙা ঘরে।
সেখান থেকে ইমরান সাহসিকতার সাহসিকতার সঙ্গে দীর্ঘ পঞ্চাশ মিনিটের জঙ্গলাকীর্ণ পথ পায়ে হেটে রামকৃষ্ণনগর থানার অন্তর্গত হরিনগর গাছতলায় এক অবসরপ্রাপ্ত মনিপুরী সেনা কর্মীর কাছে এসে আশ্রয় নেয়।
ইমরান ওই সেনা কর্মীকে সব কিছু খুলে বলে।
এরপর ইমরানের ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করেন ওই প্রাক্তন সেনা কর্মী।
কিন্তু সেই সময় রামকৃষ্ণনগর শহর সংলগ্ন বালিরবন্দ গ্ৰামের জাফার উদ্দিন নিজের অটোরিকশা নিয়ে আসার পথে হরিনগর গাছতলায় ইমরান এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীকে দেখতে পান।
প্রাক্তন ওই সেনা কর্মী অটোচালক জাফারকে সব খুলে বলেন এবং ইমরানকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে তাঁর কাছে সমঝে দেন।
জাফার রামকৃষ্ণনগর পৌঁছে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ আলোচনা করে রামকৃষ্ণনগর থানায় সমঝে দেন ইমরানকে। \
পরে হাইলাকান্দি থেকে ইমরানের বড়ভাই রমিজ আহমেদ লস্কর সহ তার পরিবারের লোকজন ইমরানকে অক্ষত অবস্থায় রামকৃষ্ণনগর থানা থেকে বাড়িতে ফিরে যান।