লখনৌ : ইসলামিক সেমিনারির জারি করা একটি নোটিশে ছাত্রদের ইংরেজি এবং অন্যান্য বিষয় সহ কোনও অতিরিক্ত শিক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় দারুল উলূম দেওবন্দের শিক্ষা বিভাগের চেয়ারপার্সনকে তলব করেছে উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু কমিশন।
বৃহস্পতিবার কমিশনের সচিব শাকিল আহমাদ সিদ্দিকী ২১ জুন দুপুরে লখনউতে কমিশনের অফিসে দারুল উলূম দেওবন্দের কর্মকর্তাকে তলব করে নোটিশটি জারি করেছেন।
নোটিশটিশে উল্লেখ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দারুল উলূম-দেওবন্দ একটি নোটিশ জারি করেছে যে দারুল উলূম ও দেওবন্দে অধ্যয়নরত ছাত্রদের অন্য কোন বিষয়ে (ইংরেজি, ইত্যাদি) অধ্যয়ন করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
সাহারানপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীনেশ চন্দ্রের কাছে কমিশন এটা জানিয়েছে। দারুল উলূম দেওবন্দ উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার একটি বিশিষ্ট ইসলামী মাদ্রাসা।
এদিকে শুক্রবার সকালে দারুল উলূম দেওবন্দের মুখপাত্র আশরাফ উসমানির সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে আমরা ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধ করিনি।
দারুল উলূম দেওবন্দ ইনস্টিটিউটেও ইংরেজি শেখানো হয় এবং শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতেও পারদর্শী হতে পারে।
এই সমস্যাটি ভুল রিপোর্ট করা হচ্ছে, আমরা কেবল আমাদের শিক্ষার্থীদের অন্য কোনও ইনস্টিটিউটে ভর্তি না করার জন্য বলেছি কারণ তখন তারা পাঠ্যক্রমের উপর ফোকাস করতে পারে না।
দারুল উলূম দেওবন্দের শিক্ষা বিভাগের একটি সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্রদের জানানো হচ্ছে যে দারুল উলূম দেওবন্দে অধ্যয়নরত অবস্থায় তাদের কোনো অতিরিক্ত শিক্ষা (ইংরেজি ইত্যাদি) দেওয়া হবে না।
যদি কোনো শিক্ষার্থীকে এই কাজে জড়িত পাওয়া যায় বা কোনো শিক্ষার্থী অতিরিক্ত শিক্ষা গ্রহণ করছে বলে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা গেলে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে।
ইনস্টিটিউট বলেছে যে এটি শুধুমাত্র ছাত্রদের নির্দেশ দিয়েছে যে সেমিনারিতে অধ্যয়ন করার সময় তাদের বাইরে পড়াশুনা করা উচিত নয় কারণ পাঠ্যক্রমের জন্য তাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ এবং সময় প্রয়োজন।
তারা তাদের পাঠ্যক্রমে সফল হতে পারবে না যদি তারা বাইরে অন্য বিষয়গুলি অনুসরণ করে। ইনস্টিটিউট বলেছে।
উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু কমিশনের সভাপতি আশফাক সাইফি নিজে বিজেপির সদস্য এবং দলের সংখ্যালঘু শাখার প্রাক্তন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেছেন যে দেওবন্দ সেমিনারি ২১ জুন কমিশনের সামনে তার দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করতে পারে, যদি তারা না করে থাকে ইংরেজি নিষিদ্ধ, তাহলে ঠিক আছে।
তারা এসে আমাদের বিস্তারিত জানাতে পারে এবং তথ্য উপস্থাপন করতে পারে। কিন্তু ইংরেজি নিষিদ্ধ করা মুসলিম সম্প্রদায়কে কয়েক দশক পিছিয়ে দেবে এবং আমরা তা হতে দেব না বলেছেন সাইফি।