শিলচর ১৪ আগস্ট : জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার শিলচর জেলা পরিষদ কার্যালয়ের কনফারেন্স ৭৭ তম স্বতন্ত্রতা দিবসের প্রাক্কালে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস উদযাপন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিধায়ক দ্বীপায়ন চক্রবর্তী বলেন অ-বিজেপি সরকার থাকাকালীন কখনোও তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন ভারতবর্ষের প্রকৃত ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদি অবহিত করতে বিগত সরকারের কোন প্রচেষ্টা ছিল না, কারণ দেশ মাতৃকার ইতিহাস জানলে মানুষ দেশ রক্ষা জন্য এগিয়ে আসবেন তিনি মন্তব্য করেনl
ভারতীয়রা বিকৃত ইতিহাস জেনে বড় হয়েছেন, এরজন্য দেশবাসীর প্রতি ন্যায় বিচার করা সম্ভব হয়নিl
বিধায়ক চক্রবর্তী বলেন বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে দেশ বিভাজনের সময় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিভীষিকা দেশ বিভাজনের ফলে সৃষ্টি হয়েছেl
দুই কোটির অধিক মানুষ এই বিভাজনের ফলে প্রভাবিত হয় এবং ১৯৪৭ ইংরেজির ১৪ আগস্ট তারিখ দিনটিকে সর্ববৃহৎ বিভাজন বিভীষিকার দিন বলে উল্লেখ করেন।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি ক্ষুদিরাম বসু এবং অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করেন এবং বক্তব্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাছাড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমিতাভ রাই।
তিনি বলেন ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও দ্বিখন্ডিত করে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল এর উপর আলোকপাত করে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন মানুষ জানতে সক্ষম হবেন যে বিভাজনের সময় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটে, ৪০লক্ষ মানুষ এপার ওপার হয়েছিল, তাদের নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য দেশে যেতে হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের নিকট আত্মীয়দের সম্মানিত করা হয় এবং পুষ্পাঞ্জলী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর দ্বারা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদ্যাশ্রী লাংথাসা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রঞ্জিত লস্কর।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও জনসংযোগ ডেপুটি ডাইরেক্টর ডি পি দেউরিও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দিবসটির উপর ভিত্তি করে তথ্যচিত্র ও প্রদর্শন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিপ্লব বিশ্বাস, পরে মশাল মিছিল বের করা হয়, মিছিলটি ক্ষুদিরাম বসুর মর্মর মূর্তির কাছে এসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।