জুলি দাস, করিমগঞ্জ : পঞ্চাশ বছর আগে আজকের দিনেই বিজন চক্রবর্তী ওরফে বাচ্চু রক্ত দিয়েছিলেন মাতৃভাষার জন্য।
রক্ত ঝরেছিল এই করিমগঞ্জের মাটিতে।
গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমী কাউন্সিল প্রত্যেকটি কলেজের ভাষা অসমিয়া করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার প্রতিবাদে ১৯৭২ সালে এই মাসে গড়ে ওঠে তীব্র আন্দোলন।
কিন্তু বিজন চক্রবর্তী ওরফে বাচ্চু মরেও আজ অমর। মাতৃভাষার এই বীরকে করিমগঞ্জে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকালবেলা শম্ভু সাগর পার্কের সতোরো আগষ্ট ভাষা শহিদ দিবসের পঞ্চাশতম বর্ষ পূর্তি উদযাপন সমিতির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহিদ স্মারকে মাল্যদান ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন শহিদ পত্নী মীরা চক্রবর্তী, শিবাণী বিশ্বাস, সুপ্রিয় দেব, গীতবিতান সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের পক্ষে বিষ্ণুপদ নাগ, বরাক উপত্যকা মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতির পক্ষে কেন্দ্রীয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌতম চৌধুরী, সঞ্চিতা ভট্টাচার্য, গীতা সাহা, গোপালচন্দ্র পাল, বিশ্বজিৎ দাস, রণধীর রায়, অরূপরতন দাস, অরুণাংশু ভট্টাচার্য, নির্মল সরকার, নির্মল দাস প্রমুখ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
শহিদ স্মরণ, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি সহ বিভিন্ন স্কুল, সঙ্গীত বিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক দলগুলি অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
সভায় ‘স্ফুরণ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাসের উদ্যোগে শহিদ বিজন চক্রবর্তী স্মরণ সংখ্যা, উন্মোচন হয়। উন্মোচন করেন ভাষাসেনানী তথা প্রাক্তন বিধায়ক নিশীথরঞ্জন দাস ও শহিদ পত্নী মীরা চক্রবর্তী।