হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া, শিলচর : পুরনো বিবাদকে ঘিরে প্রাণঘাতী হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন শিলচর ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের শিশু আয়ান- মঞ্জুর বড়ভূঁইয়ার পরিবার।
বর্তমানে আতঙ্কে দিনরাত কাটাচ্ছেন শিশু আয়ান মঞ্জুর বড়ভূঁইয়ার পরিবার।
শিলচর ওয়াটার ওয়াকার্স রোডের শিশু আয়ান হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হাসান লস্করের পুত্র নয়ান লস্কর বুধবার দুপুরে মঞ্জুর ইসলাম বড়ভূইয়াকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন মঞ্জুর ইসলাম বড়ভূঁইয়া এমর্মে শিলচর সদর থানার ওসির সঙ্গে দেখা করে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন।
তিনি ওসির কাছে তার ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তদন্ত ক্রমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মঞ্জুর বলেন, আজ দুপুরে অভিযুক্ত হাসান লস্করের পুত্র নয়ান লস্কর ও স্ত্রী তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত নয়ান বলে যে এর আগে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাঁকে হত্যা করবে। আর তাঁকে হত্যা করা হলে মামলা লড়ার জন্য কেউ থাকবেনা বলে হুমকি দেয়।

মঞ্জুর বলেন, ছেলেকে হত্যার পর থেকে তাদের পরিবারকে নানান ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও এভাবে হুমকি পাওয়ার পর পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন ওসি তাঁর কাছ থেকে হুমকির বিবরণ শুনেছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আরসিসি ঘর নির্মাণ করছেন। কিন্তু অভিযুক্তের পরিবার ও আত্মীয়রা তাঁকে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে।
তার জমি জবরদখল করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। এদিন তিনি এব্যাপারে কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মাহাত্তো সহ আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি আয়ান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য,গত ১১ মার্চ দিনদুপুরে প্রকাশ্যে শিলচর শহরের বুকে লোমহর্ষক এক শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছিল।
জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন হতে হয়েছিল ৮ বছরের এক শিশুকে।
প্রতিবেশী এক যুবকের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান আয়ান মঞ্জুর বড়ভূইঁয়া নামের আট বছরের শিশু।
ঘটনার পর শিলচর পুলিশ মূল অভিযুক্ত অপু মজুমদার নামের যুবককে গ্রেফতার করে।
পরবর্তী সময়ে আরেক অভিযুক্ত সজিব উদ্দিন মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া হাসান লস্করকেও গ্রেফতার করা হয়।
হাসান বর্তমান জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাপ্পু মজুমদার এখনও পলাতক রয়েছে। তবে জেলে অপু মজুমদার ও পাপ্পু মজুমদার বন্দি রয়েছেন।