সিপ্রীয়ান ডায়াস : ছত্তিশগড়ের বীরাঙ্গনা মেয়ে সীমা বর্মার সমাজসেবা মূলক কৃতিত্ব। সীমা বর্মা এক টাকা এক টাকা করে অভিযান চালিয়ে হাজারেরও অধিক শিশুদের সাহায্য করেছেন।
সীমা বর্মার তাঁর এই সমাজসেবা মূলক কাজে প্রশাসন থেকেও সহযোগিতা পেয়েছেন। এখন তিনি ছত্রিশগড় রাজ্যের সর্বত্র চর্চিত ব্যক্তি।
দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের সজাগতা সৃষ্টি এবং তাদের আবশ্যকতা পূরণ করার লক্ষ্য নিয়েই এই এক টাকার অভিযান শুরু করেন ছত্রিশগড় রাজ্যের গর্ব সীমা বর্মা।
উল্লেখ্য যে সীমা বর্মা গত পাঁচ বছরের মধ্যে ১৭ হাজারেরও অধিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ষ্টেশনারী সামগ্রী দিয়েছেন।
তাছাড়াও সীমা বর্মা ৩৭ টি স্কুলের বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত না ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তিনি তাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেছেন।
এই এক টাকা এক টাকা করে সংগ্রহ করার বিষয়ে মিডিয়া সীমা বর্মাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, কলেজে পড়ার সময় তার এক বান্ধবী সুনিতা যাদব যিনি প্রতিবন্ধী ছিলেন তিনি ট্রাই সাইকেলে আসতেন।
তখন সীমার ইচ্ছা ছিল তাকে একটি ইলেকট্রনিক্স সাইকেল উপহার স্বরূপ দেওয়ার।
এই বিষয়ে তিনি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বললে অধ্যক্ষ জবাব দেন যে এক সপ্তাহ পরে আসার জন্য।
তখনই ছত্রিশগড়ের সীমা বর্মা সিদ্ধান্ত নেন যে যেভাবেই হোক তার বান্ধবী সুনিতাকে একটি ইলেকট্রনিক্স সাইকেল কিনে দিতেই হবে।
আর এর জন্য যদি চাঁদা তুলতে হয় তাও তিনি করতে প্রস্তুত আছেন।
এরপর সীমা বর্মা চাঁদা তুলে এবং এক টাকার অভিযান চালিয়ে তার প্রতিবন্ধী বান্ধবী সুনীতাকে একটি ইলেকট্রনিক্স সাইকেল উপহারস্বরূপ কিনে দেন। তখন থেকেই তিনি এক টাকার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।