জুলি দাস, করিমগঞ্জ : মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। করিমগঞ্জে যতগুলো দুর্ঘটনা ঘটে, এরমধ্যে বেশিরভাগ চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকেন।
পরিসংখ্যান এই তথ্য বলছে। জাতীয় সড়কের পাশে অধিকাংশ লাইন হোটেলে অবৈধভাবে মদ বিক্রি হয়।
সেগুলিতে মদ পান করে গাড়ি চালানোর জন্যই অধিকাংশ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই লাইন হোটেলগুলিতে অবৈধভাবে মদ বিক্রি বন্ধ করতে সক্রিয় হয়েছেন পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস।
গত কয়েক মাস থেকে লাগাতার ওইসব লাইন হোটেলগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
করিমগঞ্জ শহর, নিভিয়া, ভাঙ্গা, বারইগ্রাম এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে থাকা দোকান এবং ধাবাগুলিতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
অন্যদিকে, শহরের লক্ষীচরণ রোডে আচমকা অভিযান চালিয়ে একটি দোকান থেকে ১৪টি বিয়ারের বোতল এবং ভারতে তৈরি বিদেশি মদের বোতল দুইটি জব্দ করে পুলিশ।
নিভিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ লিটার দেশী মদ নষ্ট করা হয়। এরালিগুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে নষ্ট করা হয় প্রায় ২৭০ লিটার দেশি মদ।
পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস বলেছেন, অবৈধভাবে মদ বিক্রি হওয়া বরদাস্ত করবে না পুলিশ। এর বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে। জাতীয় সড়কের পাশে লাইন হোটেলগুলিতেও অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা চলবে না।