হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া : বিধবা মহিলার ঘরে প্রবেশ করে বলপূর্বক অপকর্ম করার চেষ্টা করে ধরা পড়ল এক যুবক।
মহিলার চিৎকারে আশপাশের মানুষ জড়ো হলে হাতেনাতে ধরা পড়ে এই লম্পট যুবক।
তবে রাতেই স্থানীয় বিচার সভায় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পায় ওই যুবক।
কিন্তু পর দিন ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে ওই লম্পট যুবক বার্মিজ সুপারির সংযোগের অভিযোগ এনে বিচারকদের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে বিধবা তাকে ঘরে ঢুকে বলপূর্বক শ্লীলতা হানি এবং অপকর্ম করার চেষ্টার অভিযোগ এনে পালটা মামলা করেছেন।
ঘটনাটি ধলাই থানার দক্ষিণ ধলাইয়ের রাজনগর গ্রামের।
নির্যাতিতা বিধবা মহিলা অভিযোগ করেছেন একই গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগবিন্দপুরের বাসিন্দা দিলওয়ার হোসেন নামের যুবক মহিলা স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
তিনি দিলওয়ারের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১ সেপ্টেম্বর রাতের অন্ধকারে কু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তার ঘরে প্রবেশ করে।
তখন তিনি হাল্লা চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে দিলওয়ারকে ধরে ফেলেন।
সেদিন রাতেই স্থানীয় মাতব্বররা দিলওয়ারকে পুলিশে না দিয়ে বিচার সবার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এরূপ না করার শর্তে জরিমানা আদায় করে তাকে ছেড়ে দেন।
ঘটনার মোড় ঘুরাতে দিলওয়ার স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু লস্কর, গিয়াস উদ্দিন, আখতার উদ্দিন, জয়নাল উদ্দিন সহ ১৩, ১৪ জনের বিরুদ্ধে ধলাই থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বার্মিজ সুপারির গাড়ি পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ায় গ্রাজ মূলক তাকে বিধবা মহিলার ঘরে ঢুকিয়ে শালীনতা হানির অভিযোগ এনে মারধর এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
দিলওয়ার মামলা করেছেন জানতে পেরে নির্যাতিতা মহিলা ঘরে প্রবেশ করে তার সহিত বলপূর্বক করার অভিযোগ এনে ধলাই থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ উভয় মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় মানুষ উল্লেখ করেন যে রাজগবিন্দপুরের বাসিন্দ লম্পট দিলওয়ার হোসেন লস্কর একজন সুপারি মাফিয়াও।
গত ২০২২-এর ৪ সেপ্টেম্বর সুপারি পাচার করতে গিয়ে একটি বেলেনো ও দুইটি লরি সহ অন্যান্য চারজনের সঙ্গে পুলিশের তাকে পাকড়াও করে। দীর্ঘদিন হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের বার্মিজ সুপারি ব্যবসা চালাচ্ছে দিলওয়ার।