রত্নদ্বীপ চক্রবর্তী, ধর্মনগর : অবরুদ্ধ দিনে অর্থাৎ কোভিড পরিস্থিতিতে জন্ম নেওয়া “পাঞ্চজন্য” সাহিত্য আড্ডা নামক ভার্চুয়াল গ্রুপ বাস্তবের মাটি ছুঁয়ে জেলা, রাজ্য, দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের সদস্য সহ এক বিশাল সমৃদ্ধ সাহিত্য পরিবার হিসেবে গড়ে উঠছে দিন দিন।
এই পরিবারের প্রাণপুরুষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর যোগ্য সহযোগী ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ-এর সুচারু পরিচালনায় একে একে তৃতীয় বর্ষ পূর্ণ করে চতুর্থ বর্ষে পা রাখলো এই পরিবার।
সেই দিন আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জে সারা দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈচিত্র্যময় ও বর্ণময় তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন কোলকাতা, আগরতলা, বিলোনিয়া, কৈলাসহর, ধর্মনগর, শিলচর, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ সহ আরও বিভিন্ন জায়গার সদস্যবৃন্দ।
উন্মোচিত হয়েছে এই পরিবারের তৃতীয় বার্ষিক মুখপত্র আরশি-৩।
কিন্তু যাঁরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি তাঁদেরকে সম্মাননা, প্রশংসা পত্র, আরশি-৩, পুষ্পস্তবক ইত্যাদি পৌঁছে দিতে হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ থেকে পরিবারের সদস্যবৃন্দ অর্থাৎ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, আয়ুষী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধু ভূষণ দাস, মীরা বনিক, সেবা রায়, শম্পা ধর, পিনাকী ধর, স্বরাজ নন্দী, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ প্রমুখ ধর্মনগরে আসেন।
নয়াপাড়া ধর্মনগরের বিশিষ্ট শিল্পীযুগল হিল্লোল দেবনাথ এবং সুনন্দা দেবনাথ এর বাড়িতে এক ঘরোয়া সাহিত্য আড্ডার মাধ্যমে পরিবারের উপদেষ্টা বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী বিকাশ বরণ ভট্টাচার্যকে সম্মাননা প্রদান করেন।
এছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আরশি-৩, পুষ্পস্তবক, উত্তরীয়, প্রশংসা পত্র ইত্যাদি প্রদান করা হয়।
এই ঘরোয়া আড্ডায় ধর্মনগরের বিশিষ্ট সংস্কৃতি প্রেমী, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ বরণ ভট্টাচার্য, স্বপ্না ভট্টাচার্য, সুজিৎ কর, গৌতম রায়, অলক মুখার্জী, মধুমিতা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, নবনীতা ভট্টাচার্য, সুনন্দা দেবনাথ, হিল্লোল দেবনাথ, পদ্মশ্রী মজুমদার সহ আরও অন্যান্য সদস্যরা।
প্রখ্যাত বাচিকশিল্পী সুনন্দা দেবনাথ, ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, পিনাকী ধর, শিশুশিল্পী আয়ুষী বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদের পরিশীলিত কণ্ঠের আবৃত্তি এবং কবি ও আবৃত্তিকার মধুমিতা ভট্টাচার্য, পদ্মশ্রী মজুমদার, গৌতম রায়, সুজিৎ কর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাজ নন্দী মহাশয়দের আবৃত্তি, অলক মুখার্জী, বিধুভূষণ দাস, বিকাশ বরণ ভট্টাচার্য মহাশয়দের বক্তৃতা অনুষ্ঠানের পূর্ণ রূপ দিয়েছে।
এই অনুষ্ঠান সর্বাঙ্গীণ সার্থক করে তুলতে সুজিৎ কর, গৌতম রায়, অলক মুখার্জী, মীরা বনিক, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ, সেবা রায় ও শম্পা ধর এঁদের অবদান যথেষ্ট। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে ঐদিন একটা সর্বাঙ্গ সুন্দর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।