জুলি দাস
করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ লোকসভা আসন বর্তমানে এনডিএর দখলে আছে, আগামী নির্বাচনের পরও এনডিএর দখলে থাকবে।
করিমগঞ্জে অগপ প্রার্থী দিলে নিশ্চিতভাবে জয়ী হয়ে দেখাবে।
রবিবার রাতে করিমগঞ্জে এক কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাগুলি বলেছেন অগপর কেন্দ্রীয় উপ-সভাপতি সুনীল ডেকা।
তিনি করিমগঞ্জ লোকসভা আসনটি অগপকে ছেড়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, দলের স্বার্থে ঠিকমতো কাজ না করলে সমষ্টি এবং আঞ্চলিক কমিটির পদাধিকারীদের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ডেকা।
ভিড়ে ঠাসা কর্মী সম্মেলনে সুনীল ডেকা বলেছেন, করিমগঞ্জ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেখাবে দল। যেদিন এই আসন দল দখল করবে সেদিন থেকে বরাকে অগপর জয়যাত্রা শুরু হবে।
এরপর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বরাক থেকে অধিকাংশ আসন দল দখল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নিজের বক্তব্যে এআইইউডিএফ সভাপতি মাওলানা বদরুদ্দিন আজমলের কড়া সমালোচনা করেন অগপর কেন্দ্রীয় নেতা।
তিনি বলেছেন, আগে এআইইউডিএফকে সমর্থন করেছিলেন বরাকের জনগণ।
কিন্তু সেই দলের কার্যক্রমনিকা জনগণের স্বার্থে নয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণ থেকে ভোট আদায় করে পরে নিজের স্বার্থে সেগুলি ভুলে যান আজমল।
মুখ্যমন্ত্রীর সামনে গিয়ে জি হুজুর করেন।
কারণ বদরুদ্দিন একজন আগর ব্যবসায়ী, তার কাছে জনগণের কাছ থেকে পাওয়া ভোট বড় কথা নয়।
আগর ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন, ফলে ব্যবসা নষ্ট না হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে তোষামোদ করে চলেন বদরুদ্দিন।
ডেকা আরো বলেন, নির্বাচন আসলে বদরুদ্দিন আজমল এখানে এসে ঝাড়ফুঁক করবেন, সংখ্যালঘুদের সামনে মায়া কান্না কাঁদবেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে আজমল সংখ্যালঘুদের তাতাবেন।
কিন্তু অগপ কোন বিশেষ সম্প্রদায়কে নিয়ে রাজনীতি করে না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, শিখ সহ সবার জন্য কাজ করে। সবার কথা বলে অগপ।
দলের মূল স্লোগান ‘ঐক্য, শান্তি, প্রগতি।’ সবাইকে একতার সূত্রে বাঁধলে শান্তি আসবে।
তিনি বলেন অন্য দল নিয়ন্ত্রণ হয় দিল্লি থেকে, কিন্তু অগপ অসমবাসীর স্বার্থে কাজ করে। এই দলের হাইকমান্ড হচ্ছেন জনগণ।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে সর্বাধিক আসন এনডিএর দখলে থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, ডিলিমিটেশন-এর ফলে করিমগঞ্জের বিভিন্ন সমষ্টির সীমা উলোট, পালোট হয়েছে।
বদরপুর আসন বাদ পড়েছে।
ফলে নতুন করে জেলার বিভিন্ন সমষ্টি কমিটিগুলো গঠন করা হবে। এর জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সমষ্টি কমিটি হওয়ার পর একমাসের মধ্যে আঞ্চলিক কমিটি গঠন করতে হবে। আঞ্চলিক কমিটি গঠন করার সময় জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একজন পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন।
দলের স্বার্থে কাজ না করলে পদাধিকারীদের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুনীল ডেকা।
অগপর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমলেন্দু সিনহা বলেছেন, বিজেপি এবং অগপ ভাই ভাই। এক সময় অগপ বিগ ব্রাদার ছিল, আর এখন বিজেপি বিগ ব্রাদার।
কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের জেলা কমিটির সভাপতি এমএইচ তাপাদার, আইনজীবী দাইয়ান হোসেন সহ অন্যান্যরা।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা তানিয়া মন্ডল, শহর কমিটির সভাপতি দ্বৈপায়ন রায়, হোসেন আহমেদ, সেলিম উদ্দিন লস্কর সহ আরো অনেকে।