ব্যুরো রিপোর্ট, উত্তর ত্রিপুরা : উত্তর এিপুরার কৈলাশহর মহকুমায় এক গৃহবধুর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ শশুর বাড়ির লোকজন এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতীবাদ জানিয়েছেন নির্যাতিতা এক গৃহবধু সিরিবুন নেছা।
মাগুরুলী এলাকার সত্তার আলীর মেয়ে সিরিবুন নেছার বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আলকুম আলীর পুত্র ইউনুস আলীর সঙ্গে।
দু’জনের সংসার ভালই চলছিল, কিন্তু হঠাৎ আসে স্বামীর মধ্যে পরিবর্তন আসে এবং তিনি তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন সিরিবুন।
অনেকবার মারধর করলে ইউনুস আলীর পিতা মীমাংসাও করেছেন বলে জানানসিরিবুন।
তবে এবার তার চাহিদার পরিমাণ ছিল বেশি, বাইক কিনবেন বলে গতকাল ইউনুস আলী উন্মাদ হয়ে উঠেন এবং স্ত্রীকে টাকার জন্য চাপ দেন।
কিন্তু স্ত্রী টাকা আনতে অস্বীকার করলে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন এক সময় গলায় গামছা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এমন কি মাথায়ও আঘাত করেন।
এই আঘাতে স্ত্রী সিরিবুনেছার মাতা ফেটে গেলে অজ্ঞান হয়ে পড়লে শ্বশুরবাড়ি থেকে সিরিবোননেছার বাবার বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় যে মেয়েকে নিয়ে যেতে।
এই ফোন পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন এসে শিরিবোনেছাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটে।
সিরিবোনের বাবার বাড়ির লোকজন তাকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করান।
আহত শিরিবুন্নেছার মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে, এদিকে ক্যামেরার সম্মুখীন হয়ে সিরিবোন নেছা বলেন, বাবার বাড়ি থেকে বাইক থেকে ধরে সব ধরণের মালামাল দেওয়া হয়েছে।
এরপরও লাখ টাকার দাবি করছেন স্বামী ইউনুস, শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকেরাও ছেড়ে দেননি সিরিবোন নেছাকে।
ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত সিরিবোন আরো বলেন আমি অত্যন্ত গরিব পরিবারের মেয়ে, স্বামীর চাহিদা মেটাতে না পারায় লাগাতোর আমার উপর এই নির্যাতন করা হচ্ছে।
শশুরকে বারবার জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের এবং কৈলাশহর থানার দারস্ত হয়েছেন তিনি। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অসহায় গৃহবধূ সিরিবোন নেছা।