ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ : বরাক উপত্যকার একের পর এক চা বাগান লোকআউটের দিকে এগিয়ে গেলেও বড়খলা রামপুর চা বাগান অনেকটাই ঘুরে দাড়িয়েছে।
এটা সম্ভব হয়েছে বাগানের ম্যানেজার সুকেশ সিং-এর ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টায়, এমনটাই দাবী বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় সচেতন মহলের।
মহাসড়কের পাশে বাগানের শিব মন্দির স্থাপনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সমাজসেবী সন্দীপ দাস-এর বাড়ীতে অনুষ্ঠিত এভাবেই দাবী করেছেন বড়খলা সরস্বতি বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ দেবপুরকায়স্থ, বিশ্বহিন্দু পরিষদের কৌশিক ঘোষ, সমাজসেবী মান্না দাস, বড়খলা সেডোর সাধারণ সম্পাদক অজিত দাস সহ উপস্থিত অন্যান্যরা।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রামপুর বাগানের ম্যানেজার সুকেশ সিংও। তিনি মন্দির নির্মাণের জন্য বাগানের জমি দান করেছেন এবং নগদ দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
তিনি বরাক তথা আসামের চা বাগানের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের ভরাখাই বাগানের শ্রমিকরা কয়েক সপ্তাহ থেকে কোন তলব পাচ্ছে না।
শমিকরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তাই রামপুর বাগানের সার্বিক উন্নয়ন এমনকি শ্রমিকদের কারো কোন সমস্যা থাকলে তাকে জানাতে বলেন।
যথাসাধ্য সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। মন্দির নির্মাণেও প্রয়োজন হলে কমিটিকে আরও সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য যে ম্যানেজার সুকেশ সিং এর আগে সুনামের সঙ্গে ডার্বি বাগানে ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছে। তাঁর প্রচেষ্টায় ডার্বি বাগান আজ অন্যান্য বাগান থেকে অনেকটাই ভালো অবস্থানে রয়েছে।