ইম্ফল : দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মনিপুর।
বৃহস্পতিবার ইম্ফল পশ্চিমে ডেপুটি কমিশনারের অফিস ভাংচুর এবং দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভে জনতা।
জুলাই মাসে নিখোঁজ দুই যুবকের মৃতদেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ইম্ফলে ছাত্রদের নেতৃত্বে সহিংসতার নতুন লড়াই শুরু হয়।
গত রাতে বিক্ষোভকারীরা উরিপোক, ইয়াইসকুল, সাগোলবন্দ এবং তেরা এলাকায় নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আবাসিক এলাকায় প্রবেশে বাধা দিতে টায়ার, বোল্ডার এবং লোহার পাইপ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
কিছু সংখ্যক জনতা ডিসি অফিসে ভাংচুর করে এবং দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। সিআরপিএফ কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে জানিয়েছে।
এদিকে ইম্ফল পূর্ব এবং পশ্চিম দুটি জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার থেকে প্রায় ৬৫ জন আহত হওয়ার পর পুনরায় কারফিউ জারি করা হয়।

অপরদিকে থৌবাল জেলার খংজামে বিজেপির একটি অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।
মণিপুর পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, কিছু সংখ্যক জনতা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করে এবং এটি পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও একজন পুলিশ কর্মীকে আক্রমণ করে এবং তার অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।
এই ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছিনতাইকৃত অস্ত্র উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অনুসন্ধান অভিযান চলছে জানানো হয়েছে।
মণিপুর কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস ইতিমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীকে কিশোরদের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং রাবার বুলেট ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে।
মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হয়েছেন। তফসিলি উপজাতি মর্যাদার দাবিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে ‘উপজাতি সংহতি মার্চ’ থেকেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।