জুলি দাস, করিমগঞ্জ : নিজের হাতে ছোট্ট দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে নিজেই নবরাত্রি পূজা করলো অংশস্বরূপ বিশ্বাস।
বাবা, মা আদর করে তাকে আদি বলে ডাকেন। করিমগঞ্জ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র আদি।
মহালয়ার পরের দিন থেকে নবমী পর্যন্ত বাড়ির ঠাকুরঘরে দুর্গাকে বিধি অনুযায়ী পূজা করে।
দশমীর দ্বিতীয় দিন কালিবাড়ি রোডের কুশিয়ারা নদীর বিসর্জনঘাটে বাবার সঙ্গে এসে দুর্গাকে বিসর্জন করে আদি।
ছোট্ট দুর্গাকে দুই হাতে কোলে করে নিয়ে এসেছিল সে।
গত দুই বছর থেকে নীলমণি রোডের নিজেদের বাড়িতে নবরাত্রি পূজা করে আসছে আদি। এবার নিয়ে তিন বছর পূজা করে সে।
গত দুই বছর ঘটের মধ্যে পূজা করে। কিন্তু এবার ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজের হাতে দুর্গার ছোট্ট মূর্তি তৈরি করে।
এর জন্য তার সময় লেগেছে প্রায় দশদিন। পরে ঠাকুরঘরে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করে পূজা করে।
পূজার কয়েক দিন অন্ন গ্রহণ না করে সাগু এবং ফল খেয়েছে।
বিসর্জনের দ্বিতীয় দিন ঘাটে তার হাতে ছোট্ট দুর্গামূর্তি দেখে কৌতুহলবশত আলোচনা হয়।
সে সময় মিউনিসিপালিটি কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করছিলেন।
এরপর চার নম্বর প্রতিমা হিসেবে মূর্তি বিসর্জন করে সে।
তখন বিসর্জনঘাটে উপস্থিত ছিলেন এলাকার পুর কমিশনার তথা উপ-পুরপতি সুখেন্দু দাস।
আদির বাবা বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আশিসকান্তি বিশ্বাস বলেছেন, আদি অত্যন্ত ঠাকুর ভক্ত। গত দুই বছর ধরে নবরাত্রি পূজা করছে।
এবার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ষান্মাষিক পরীক্ষা যখন চলছে তখন আদি মূর্তি তৈরি করে পূজার কথা বলে।
মহালয়ার পরের দিন মূর্তি স্থাপন করে ঠাকুরঘরে। ওঙ্কার মূর্তির পাশে দুর্গামূর্তি রেখে বিধি অনুযায়ী নবমী পর্যন্ত নিজে পূজা করে। মা বিপাশা মহাপাত্র বিশ্বাস বলেছেন, আদিকে মূলত অনুপ্রেরণা দেন পুরোহিত প্রজ্ঞানন্দ সরস্বতী।