দীপন দাস, কাটিগড়া : এবার কাটিগড়া সার্কল অফিসের সরকারী আবাসে আবিষ্কার মদের আসর! ছিল হাসের খসা মাংস।
স্ব-চক্ষে প্রত্যক্ষ করলেন স্বয়ং সার্কেল অফিসার।
সোমবার সন্ধ্যায় কাটিগড়া খবর পেয়ে সার্কেল অফিসার নিজেই উপস্থিত হলেন সরকারি আবাসের জমজমাট এই মদের আড্ডায়।
তাঁকে দেখে পড়িমরি করে আসর থেকে পালালেন সবাই।
কাটিগড়া সার্কল অফিসের নৈশ্য চৌকিদার রাজেন্দ্র সিং এবং জায়দুল হোসেন অফিস ক্যাম্পাসে এক কোয়াটারে থাকেন।
এই সরকারী কোয়াটারে প্রায়ই বসে মদের আড্ডা। বাহিরের লোকদের উপস্থিতিতে জম্পেশ করে বসে মদের আসর, চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
দীর্ঘ দিন থেকে গোপনে চলে আসা এই মদের আড্ডার পর্দা ফাঁস হয় সোমবার সন্ধ্যায়। সার্কল অফিসার রবার্ট টোল মদের জমপেশ আড্ডায় চালান অভিযান।
অফিসের মূল গেট বন্ধ পেয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের গেট দিয়ে প্রবেশ করে ফাঁড়ি পথে ওই কোয়াটারে যান তিনি।
দরজা খোলতেই চোখ কপালে উঠে তাঁর। কোয়াটারের মেঝে মাদুর বিছিয়ে চলছে মদের আড্ডা। সারি সারি ভাবে রাখা বিয়ারের বোতল। পাশে রয়েছে একটা খাট।
ওই খাটের উপরে রাখা সারি সারি মদ ভর্তি গ্লাস, এখান নিয়েই বসে বসে তারা গিলছে। শুধু মদ নয়, মদের সঙ্গে রয়েছে কষা হাঁসের মাংসও।
সার্কেল অফিসারকে দেখে হতচকিত হয়ে উঠেন আসরে থাকা ব্যক্তিরা। বহিরাগত লোক গুলোর অবস্থা হয় ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
পড়ি মরি করে কোয়াটার থেকে পালায় তারা। দু’জন অফিস কর্মী তখন অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন।
জায়দুল সঙ্গে সঙ্গে কিছু একটা রান্না করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাঁকে তখন বলতে শুনা গেছে ‘আমি কিছুই করিনি স্যার, আমি রান্নায় ছিলাম’।
নৈশ্য চৌকিদার রাজেন্দ্র সিং বলেন, আমার জণ্ডিস স্যার।
কিন্তু এসব কোন কথাই কানে তোলেননি সার্কল অফিসার। মদের আসরে সমীরণ কলিতা নামের সাব রেজিস্ট্রার অফিসের এক কর্মীও ছিলেন। সরকারি আবাসে চলা ওই আড্ডা থেকে বেশ কয়েক বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে।