গণআওয়াজ প্রতিনিধি : শিলচর বিশফুটির ভেলুয়ার ফেব টেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে নার্সিং ট্রেনিং-এর জন্য গত বছরের মে মাসে ভর্তি হয়েছিল কিশোরীরা।
৬ মাসের কোর্সে ৪ মাস ছিল থিয়রি এবং দুমাসের প্রেটিক্যাল।
এই কোর্স শেষ হওয়ার পর তাদেরকে দিল্লি সারদা হাসপাতালে নিযুক্তির কথা বলে নিয়ে যায় ভেলুয়ার ফেব টেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের সৌমিত্র দাস।
কথা ছিল দিল্লিতে থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত থাকবে, কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কোন ধরনের থাকার ব্যবস্থা ছিল না।
প্রথম রাতে তাদের নিয়ে রাখা হয় দিল্লির হরিয়ানা রোডের একটি রুমে। কিন্তু পরের দিন সকালে তারা দেখতে পায় এটা রেড লাইট এলাকা।
এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গাজিয়াবাদে।
সেখানে যোশদা হাসপাতালের নিখিল বার্মা নামের এক ব্যক্তির কাছে সমঝে দেয়।
নিখিল তাদের যোশদা হাসপাতালে নিয়ে সাফাইর কাজে নিযুক্ত করে।
এই কাজে তারা আপত্তি জানালে নিখিল বার্মা নানা ধরনের হুমকি দেয় বলে জানান ওই যুবতীরা।
পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।
যুবতীরা বিশফুটির এই ভেলুয়ার ফেব টেক্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রশিক্ষণ সেন্টারের ম্যানেজার বিবেক কুমার, সৌমিত্র দাস সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে প্রতারনার অভিযোগ জানিয়েছেন।
তারা গণআওয়াজকে জানিয়েছেন, পালিয়ে না আসলে তাদেরকে নিসিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হত। এই ঘটনায় শিলচরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।