গৌহাটি প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীর দায়ের করা পিটিশনের শুনানি করে আজ গুয়াহাটি হাইকোর্ট সদ্য সমাপ্ত করিমগঞ্জ লোকসভার সাংসদ কৃপনাথ মাল্লার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।
হাফিজ রশিদ হাইকোর্টে দায়ের করা পিটিশনে অভিযোগ করেছে, করিমগঞ্জ লোকসভার বিজেপি প্রাথী কৃপানাথ মাল্লাহ ভোটগ্ৰহণের দিন ব্যাপক র্যাগিং, বুথ দখল, উৎকোচ, ভীতিপ্রদর্শন সহ বিভিন্ন দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়া কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ পিটিশনে এই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
আজ গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার মেধি শুনানির পর কৃপানাথ মাল্লার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
পিটিশনের লিগ্যাল টিমের আহ্বায়ক গৌতম চৌধুরী ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনে ২০টি ভোটকেন্দ্রে কারচুপি এবং বুথ দখলের সুনির্দিষ্ট তথ্য সহকারে সিরিজ অভিযোগ ইমেল করার কথাও জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে আবেদনকারীর নির্বাচনী এজেন্ট ভোটের দিনে ৩১টি ভোটকেন্দ্রে অসদাচরণের বিশদ বিবরণ দিয়ে বুথ দখলের চেষ্টায় দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।
পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, দখলকৃত ৪৭টি বুথের ভোটার দুই প্রার্থীর ব্যবধানের প্রায় দ্বিগুণ, এছাড়া ভোট গণনায় বিভ্রান্তিরও অভিযোগ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এগারো লক্ষ, ছত্রিশ হাজার, পাঁচ শত আটত্রিশটি ভোট পড়েছে, কিন্তু পোস্টাল ব্যালট যোগ করার পর দেখা গেছে এগারো লক্ষ, তেতাল্লিশ হাজার, সাত শত ছিয়ানব্বইটি হয়েছে।
দেখাগেছে এগারো হাজার, চারশত ছিয়াত্তরটি ভোট বেশী।
এর মানে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানের চেয়ে গণনার দিন তিন হাজার, আটশত এগারটি ভোট বেশি হয়েছে।
আদালত দ্রুত শুনানির প্রয়োজনীয়তা তুলে কৃপানাথ মাল্লার বিরুদ্ধে সমন জারি করে ১৯আগস্ট, ২০২৪ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।