গণআওয়াজ প্রতিনিধি, আগরতলা : নেশার রমরমা বাণিজ্যে ভাসছে কাঞ্চনপুর। অভিযানে নেমে জনতা পাকড়াও করলেন দুই মহিলা সহ চারজনকে।
এরমধ্যে এক পাচারকারী আবার ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের অফিসারের পুত্রও।
পরে তাদেরকে তুলে দেওয়া হয় কাঞ্চনপুর পুলিশের হাতে। পুলিশ তাদেরকে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ নেশা দ্রব্য হিরোইন সহ নগদ অর্থ জব্দ করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে কাঞ্চনপুর বাজারে দাপটের সঙ্গে অবৈধ নেশা জাতীয় দ্রব্য, হিরোইন বিক্রি করে আসছিল নিতাবালা চাকমা নামের এক মহিলা।
কিন্তু প্রাণের ভয়ে এতদিন বাজারের ব্যবসায়ীরা কিছু না বললেও যুব সমাজকে নষ্ট হওয়া দেখে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে ব্যবসায়ীদের।
বিষয়টি ব্যবসায়ীরা বাজার কমিটিকে জানালে ১৪ অক্টোবর কাঞ্চনপুর বাজার কমিটি ওই মহিলার অবৈধ ব্যবসা নিয়ে কাঞ্চনপুর বাজার দুর্গা মন্ডপে সভায় বসে।
মহিলা চাকমা সম্প্রদায়ের হওয়ায় বাজার কমিটি সভায় চাকমা সম্প্রদায়ের মুরব্বিদের আমন্ত্রণ জানালে তারাও উপস্থিত হন।
সভায় সবার উপস্থিতিতে নিতাবালা চাকমা হিরোইন বিক্রির কথা স্বীকার করে এবং আর কোনদিনও নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা করবে না বলে জানায়।
কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই সে আবারো অবৈধ নেশা দ্রব্য হিরোইনের ব্যবসা শুরু করে।
শনিবার কাঞ্চনছড়া এডিসি ভিলেজের গ্রামবাসীরা নিতাবালা চাকমা এবং তার ৫৪বছর বয়সী মা মঞ্জুরি চাকমাকে নিষিদ্ধ ড্রাগস বিক্রি করার সময় হাতেনাতে আটক করেন।
তাঁদের সঙ্গে আরো দুই ড্রাগস ব্যবসায়ীকেও আটক করেন গ্রামবাসী।
এদের মধ্যে এক জন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার শচীন্দ্র রিয়াং-এর পুত্র কাখাই রিয়াং এবং কবিনজয় রিয়াং।
পরে গ্রামবাসীরা কাঞ্চনপুর থানার পুলিশকে খবর দিয়ে আটক চার হিরোইন ব্যবসায়িকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।
পুলিশ তাদেরকে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ হিরোইন সহ নগদ ৩৫ হাজার টাকা জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করে আদালতে সোপর্দ করা হলে নিতাবালা চাকমা এবং মঞ্জুরি চাকমাকে আদালত জামিনে মুক্ত করে।
এদিকে গোটা কাঞ্চনপুরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের এক অফিসারের পুত্র নিষিদ্ধ ড্রাগস ব্যবসার সাথে জড়িত, তা কি গোয়েন্দা বাবা জানেন না?