রাজু দাস : শিলচর শহরের গতি-প্রকৃতি নিয়ে দ্বিধায় সচেতন মহল। একদিকে যেমন ধর্মের নামে উন্মাদনা, অন্যদিকে আধুনিকতার নামে চলছে বেলেল্লাপনা।
কখন কানে ধরিয়ে ভিন্ন ধর্মালবম্বীদের সাথে ধর্মের নামে কট্টরতা, আবার কখন আধুনিকতার নামে বিলাস বহুল রেস্তেরায় উন্মাদ অর্ধনগ্ন নৃত্যের উন্মাদনা।
উল্লেখ্য,বিগত বছরের কালীপূজার সময় শহরের জানিগঞ্জের এক পুজো কমিটির আয়োজন দেখে হতবাক হয়ে পড়েছিল শহরের সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ সহ সমস্থ উপত্যকার জনগন।
সেদিনে নৃত্যের নামে চলেছিল সীমাহীন নোংরামী।
যা সভ্য সমাজ কখনোই মেনে নিতে পারে না! অবশ্য সেদিনও তা কেউই মেনে নেননি। যার ফলস্বরূপ সবাই প্রতিবাদে তীব্র ভাষায় নিন্দা এবং ধিক্কার জানিয়ে ছিলেন।
এদিকে, বছর প্রথমের প্রাক্বালে থার্টি ফার্স্টের নামে শহরের এক বিলাস বহুল রেস্তেরায় চলে নির্লজ্জ, উচ্ছৃঙ্খল, বেল্লিক নৃত্য!
যার প্রতিবাদ হয়েছিল দেখার মতো। শেষপর্যন্ত রেস্তেরা কতৃপক্ষ লিখিত ক্ষমাও চেয়েছিল।
সেই রেষ কাটতে না কাটতেই শহরে ঘটে গেল আরও এক অমানবিক কর্মকাণ্ড!
যে কাণ্ড কখনই কবি-সাহিত্যিকের, এই শহরে ঘটেনি বললেই চলে।
একদল যুবক এক স্কুল ছাত্রকে জোর করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে চাপ সৃষ্টি করে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
যা খুবই নিন্দনীয় এবং দণ্ডনীয় অপরাধও। সুত্রের খবর মতে, এই ঘটনায় কাছাড় পুলিশ তিন নাবালককে আটক করছে ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসবের শেষ কোথায়?
কে বা কারা, এই সংস্কৃতির শহর ও শান্তির দ্বীপকে লজ্জিত, লাঞ্ছিত, এবং অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
তারা কারা? যাদের হীন-মানসিকতার জন্য যুব সমাজের ক্ষতি এবং উপত্যকার ভ্রাতৃত্ববোধে আঘাত আনছে। এখনই সময়! তাদের চিহ্নিত করে সমাজ ব্যবস্থা সঠিক রাখতে উচিত শিক্ষা দেওয়া। না হলে এই সৌন্দর্যে ভরা শহরকে নিমেষে আবর্জনায় পরিণত করবে।