গুয়াহাটি, ৯ অক্টোবর : উত্তর-পূর্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে আকাশপথের নেটওয়ার্ক আরও সম্প্রসারিত করার পোষকতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
রবিবার এনইসির অধিবেশনে এনিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰী অমিত শাহর উপস্থিতিতে অসম প্ৰশাসনিক পদাধিকারী কলেজ প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত উত্তর-পূর্ব পরিষদের (এনইসি) ৭০ তম পূৰ্ণাঙ্গ বৈঠকের দ্বিতীয় দিনের কাৰ্যসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। সেখানেই তিনি নানা বিষয় তুলে ধরেন।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্ৰী ড০ শৰ্মা বলেন, দুদিন ধরে অনুষ্ঠিত উত্তর-পূর্ব পরিষদের বৈঠকে বন্যা প্ৰতিরোধ, ড্ৰাগসের কারবার প্রতিহত করা ইত্যাদি বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে অসম তথা উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের অৰ্থনীতি ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়ে আসছে। তিনি যোগ করেন, আন্তঃরাজ্য সীমা বিবাদ মীমাংসার লক্ষ্যে আলোচনার প্ৰক্ৰিয়া ইতিমধ্যে আরম্ভ হয়েছে।
মেঘালয়ের সঙ্গে অসমের সীমা বিবাদের ৫০ শতাংশেরই ইতিমধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে। অরুণাচল প্ৰদেশের সঙ্গে সীমা বিবাদ সমাধান করার প্ৰক্ৰিয়াও আরম্ভ হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, সীমা বিবাদ মীমাংসার জন্য উত্তর-পূর্বের প্ৰতিটি রাজ্যকেই একত্ৰিত হয়ে প্রয়াস নিতে হবে।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, প্রধানমন্ত্ৰী উড়ান প্রকল্পের জন্য উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুন মাত্ৰা লাভ করেছে। আটটি রাজ্যের মধ্যে আকাশপথে আরও অধিক সংযোগ সাধন করতে পারলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অধিক গতিশীল রূপ লাভ করবে। উত্তর-পূর্বের জন্য আকাশ যোগাযোগ নীতি গ্রহণ করতে পারলে প্ৰতিটি রাজ্যই উপকৃত হবে। তিনি বলেন, উত্তর-পূৰ্বাঞ্চল অসামরিক বিমান নিগমের মতো পদক্ষেপ গ্ৰহণ করলে অঞ্চলটির যোগাযোগ ব্যবস্থা এক নতুন মাত্রা লাভ করবে। উত্তর-পূর্ব পরিষদ এবং রাজ্যসমূহ বিমান কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করলে অঞ্চলটিকে আরও বেশি পরিমাণে আকাশপথের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে।