দেবীতীর্থ দর্শন করে ৩য় এসপি সম্মেলনের সূচনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর
গুয়াহাটি, ১০ অক্টোবর : উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীতকরণ এবং উগ্ৰপন্থী সমস্যা সমাধান করার প্ৰতি কেন্দ্ৰীয় সরকার অগ্ৰাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব আরোপ করেছে, সেকথা আরও একবার স্পষ্ট করে বলে গেলেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তার আগে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত উত্তর-পূর্ব পরিষদের ৭০ তম পূৰ্ণাঙ্গ অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে রবিবার শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীর নেতৃত্বে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা, শান্তি এবং উন্নয়নের প্ৰতি সৰ্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং কেন্দ্ৰীয় সরকার অঞ্চলটির মূল সমস্যাসমূহ শনাক্ত করে সেসব সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেছে।
কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰী প্ৰসঙ্গক্ৰমে উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্ৰীদের বন্যা সমস্যা সমাধান এবং পৰ্যটনের উন্নয়ন, বনানীকরণ ইত্যাদির ক্ষেত্ৰে উত্তর-পূর্ব মহাকাশ প্রয়োগ কেন্দ্ৰের সহায়তা গ্ৰহণ করার আহ্বান জানান। অমিত শাহ আরও যোগ করেন, এ অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষাসমূহের সমান গুরুত্ব রয়েছে এবং এই ভাষাসমূহের প্রতি সমসম্মান প্ৰদৰ্শন করলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে শিশুদের প্ৰাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষার মাধ্যমে গ্ৰহণের প্ৰতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
এই অধিবেশনে উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বৰ্তমান অবস্থা পৰ্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়াও চলমান প্ৰকল্পসমূহের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পূৰ্ণ করে তোলা, ৬৯তম পূৰ্ণাংগ অধিবেশনের প্ৰস্তাবসমূহ বাস্তবায়ন করা, অঞ্চলটিতে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰীদের নিয়মিত পরিদর্শন এবং ২০২২-২৩ বিত্ত বৰ্ষের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। ডোনার মন্ত্রালয় এবং রাজ্য সরকারের পাশাপাশি
নির্দিষ্ট বিভাগগুলি অঞ্চলটির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পের পরিকল্পনা সম্পর্কে অধিবেশনে নিজ নিজ অভিমত তুলে ধরে।
অধিবেশনে উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের সব রাজ্যের মুখ্য সচিবরা তাদের রাজ্যের সাফল্য ও প্ৰাথমিক গুরত্ব বিষয়ে অভিমত প্ৰকাশ করার পাশাপাশি দূরসংযোগ, ব্ৰডব্যান্ড, ইণ্টারনেট সংযোগ, প্রাথমিক খণ্ডের বিকাশ এবং পৰ্যটন খণ্ডে আঞ্চলিক পরিকল্পনা সম্পর্কেও অবগত করেন।
অধিবেশনে কেন্দ্ৰীয় ডোনাৰ মন্ত্ৰী জি কিষাণ রেড্ডি এবং প্রতিমন্ত্রী বি এল বার্মাও অংশ নেন ।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ আজ সকালে দেবীতীর্থ কামাখ্যাও দৰ্শন করেন। এ প্রসঙ্গে শাহ তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, কামাখ্যা মন্দির দৰ্শন করে দেবীর কাছে প্ৰাৰ্থনা জানাতে পেরে অত্যন্ত ধন্য অনুভব করেছি। মন্দির দৰ্শনের সময় কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মাও উপস্থিত ছিলেন।
পরে এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেড়গাঁওয়ে রাজ্যের পুলিশ সুপারদের তৃতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দুদিনের কার্যসূচির এই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা, কেন্দ্ৰীয় গৃহ সচিব অজয় ভাল্লা ছাড়াও অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিকরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরাধমূলক কাজকর্ম এসব নিয়ন্ত্ৰণ সম্পৰ্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এদিনই অসম আরক্ষী প্ৰশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চত্বরে নবনিৰ্মিত অসম আরক্ষী সম্মেলন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনো করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিকে, প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে অসম পুলিশ বাহিনীর মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন কলা-কৌশল প্ৰদৰ্শন করার অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। অমিত শাহ এরপরই দিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হন।