শিলচর, ১৯ অক্টোবর : রাজ্যের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর হোম জেলা কাছাড়ে একাংশ বনকর্মীর দৌলতে বনমাফিয়ারা দীর্ঘদিন থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভুয়ো চালানে দীর্ঘদিন থেকে বেপরোয়া পাথর চালিয়ে আসার পর চিরি কোয়ারীকে টার্গেটে নেয়।
লক্ষীপুর উপ বন সংমণ্ডের অন্তর্গত জয়পুর চিরি কোয়ারী থেকেও দীর্ঘদিন থেকে পাথর মাফিয়ারা ভুয়া চালানে বানিজ্য চালিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।
জেলা বন সংমণ্ডল এবং লক্ষীপুর উপ বন সংমণ্ডলের নিধিরাম সর্দার কর্মীরা দেখেও না দেখার বাহানায় বন মাফিয়াদের সঙ্গে মিলিজুলি এই ব্যবসা চালায়।
কিন্তু দিশপুরের দুই বন আধিকারিকের গোপণ অভিযান তাদের মুখোশ খুলে যায়। তবে এখন মুখ লোকাতে লোক দেখানো অভিযান শুরু করেছে জেলা বন বিভাগ।
কিন্তু এই লোক দেখানো অভিযানই সফলতা এনে দেয়, জয়পুর চিরি কোয়ারী থেকে চালান বিহীন প্রায় সতেরোটি ট্রিপার ধরা পড়ে বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন লক্ষীপুর বন উপ সংমণ্ডলের আধিকারিক রোয়েল রংপার।
অথচ চিরি সহ একাধিক কোয়ারি মহালের কোনও পারমিটই নেই। কিন্তু প্রতিদিন কোয়ারি গুলো থেকে চলছে পাথর বেলাগাম পাচার।
বিশেষ এক সূত্রে জানা গেছে, বিজেপি নেতা রাজদীপ গোয়ালার ভাই এবং কাঠিগড়ার প্রাক্তন বিধায়কের অঙ্গুলি হেলনে চলছে বন সম্পদের লুটতরাজ।
তাদের দাপটে কোয়ারির পারমিট বন্ধ রয়েছে। মার খাচ্ছে রাজস্ব।
পারমিট বন্ধ রেখে চোরাই পথে রমরমা পাথর বাণিজ্যের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই তদন্তে নামতে বাধ্য হন দিশপুরের দুই বন আধিকারিক। সন্দেহের আবর্তে রয়েছেন খোদ কাছাড়ের ডিএফ ও তেজস স্বামী। তার পরোক্ষ মদতেই চোরাই পাথর বাণিজ্য চলছে কাছাড়ে বলে সমালোচনার ঝড় উঠছে বিভিন্ন মহলে।