হাইলাকান্দি ১৯ অক্টোবর : শিশু সুরক্ষার সব কয়টি আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গাঁওপঞ্চায়েত গুলির গাঁওসভাতে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন হাইলাকান্দির ডিডিসি আর কে লস্কর।
বুধবার হইলকান্দির লালামুখের রামবাই প্যাটেলা জনকল্যান এম ই স্কুলে শিশু সুরক্ষা সম্পর্কে বাগান পঞ্চায়েত কর্মকর্তাদের এক দিবসীয় এক প্রশিক্ষণ শিবিরে ভাষণ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিশুরা যখন অত্যাচারিত হন তখন তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন, এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
তাই শিশুদের সার্বিক বিকাশে শিশুদের মত সহজ সরল শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শিবিরে অংশ নিয়ে শ্রম বিভাগের ইন্সপেক্টর পিকে মালাকার জানান যে, ১৪ বছর পযর্ন্ত কোন শিশুকে কাজে লাগানো যাবে না।
এছাড়া ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কোন কাজে লাগানো যাবে না। এই দুই ক্ষেত্র লঙ্ঘন করা হলে শিশুকে উদ্ধার করে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।
সরকার থেকে এক্ষেত্রে আরও ১৫ হাজার টাকা শিশুকে দেওয়া হবে। উভয়প্রকার অর্থ দিয়ে শিশুর বিকাশ এবং ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এতে অংশ নিয়ে বরিষ্ঠ আইনজীবী কমরুল ইসলাম চৌধুরী শিশু সুরক্ষার আইন জেজে অ্যক্ট, পোসকো অ্যক্ট, আরটিই অ্যক্ট, পিসিএমএ অ্যক্ট ইত্যাদি আইন নিয়ে আলোচনা করে জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে শিশুকে শারীরিক শাস্তিদানও আইনত দণ্ডনীয়।
শিবিরে শিশু সুরক্ষার সরকারি কৌশল, অত্যাচারিত শিশুকে উদ্ধারের সরকারি মেকানিজম এবং এ সম্পর্কে বাগান পঞ্চায়েত কর্মকর্তাদের ভূমিকা, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির দুই কর্মকর্তা শ্যামল দাস, বিনোদা সিনহা, তাছাড়া জেলা পরিষদ সদস্য জয়দীপ লস্কর, জেলা তথ্য ও জনসংযোগ আধিকারিক সাজ্জাদুল হক চৌধুরী।
স্বাগত ভাষণে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক জালাল উদ্দিন লস্কর জানান যে শিশু সুরক্ষার বিভিন্ন আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জেলা জুড়ে ৭টি প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম শিবিরটি বুধবারের লালামুখের এই শিবির।
পরবর্তী শিবির গুলি হল ২০ অক্টোবর কৈয়া মডেল হাইস্কুলে, ২৬ অক্টোবর হাইলাকান্দি শহরের উজ্জ্বলা হোমের ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে, ২৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের সভাকক্ষে, ২৯ অক্টোবর কাটলিছড়ার জিসি এমভি স্কুলে এবং নভেম্বর মাসের ১ ও ২ তারিখে হাইলাকান্দির প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয় সংলগ্ন উজালা হোমে। প্রশিক্ষণ শিবির শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের কল্যাণ ব্রত দে।