চন্দ্রগুপ্তের সাম্রাজ্যের অনুকরণে মন্ডপ গড়ছে করিমগঞ্জের সপ্তর্ষি ক্লাব
জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২২ অক্টোবর : রাজা চন্দ্রগুপ্তের সাম্রাজ্যের অনুকরণে এবার বিশাল মণ্ডপ গড়ছে করিমগঞ্জের সপ্তর্ষি ক্লাব। এছাড়া প্রতিমা এবং আলোকসজ্জায়ও বিশেষত্ব থাকবে।
গত বছরের মতো এবারও যাতে প্রচুর সংখ্যক দর্শক সমাগম হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন ক্লাবের সব সদস্য।
শুক্রবার মণ্ডপের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে যাবতীয় কাজ তদারকি করতে দেখা গেছে এলাকার পুর কমিশনার তথা ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নির্মল বণিক, সিদ্ধার্থ দাস, জয়গোপাল দত্ত সহ অন্যান্যদের।
তবে বিশাল বাজেট নিয়ে মন্ডপ, প্রতিমা এবং আলোকসজ্জা করা হলেও কোনো প্রতিযোগিতায় তারা নেই বলে জানিয়েছেন নির্মল বণিক।
জনগণকে ক্লাবের পুজো দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রবিবার রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজের হাত ধরে মণ্ডপের উদ্বোধন করা হবে।
সপ্তর্ষি ক্লাব লাইমলাইটে আসে মূলত গত বছর থেকে। আগে এলাকার থ্রি স্টার ক্লাব, ইএনডি কলোনি-স্টেশন রোড-রায়নগর সর্বজনীন কালীপূজা কমিটি এবং সপ্তর্ষি ক্লাব পৃথকভাবে কালীপূজার আয়োজন করতো।
গত বছর থেকে তিন ক্লাব একত্রিত হয়ে সপ্তর্ষি ক্লাবের নামে পূজা আয়োজিত হচ্ছে স্টেশন রোডের জলসম্পদ কার্যালয়ের সম্মুখে।
প্রথমবারের পূজাতেই লোকসমাগম ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। যেহেতু ক্লাবের সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, ফলে বাড়তি আকর্ষণ থাকে এই ক্লাবের কালীপূজায়।
এবছর রাজা চন্দ্রগুপ্তের সাম্রাজ্যের অনুকরণে মন্ডপ হচ্ছে সপ্তর্ষি ক্লাবের। মন্ডপের কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। মন্ডপ নির্মাণ করছে করিমগঞ্জের নিত্যগোপাল ডেকোরেটার্স।
মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গড়া হচ্ছে কালী প্রতিমা। রাজগৃহের সাজে প্রতিমা গড়ছেন রূপ শিল্পালয়ের মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমার উচ্চতা ১৮ ফুট।
অন্যদিকে, আলোকসজ্জায়ও বিশাল আয়োজন রয়েছে। আলোর কারুকার্য দিয়ে মা কালী এবং শিবের বিভিন্ন রূপ তুলে ধরা হবে। আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন দীপঙ্কর দাস।
পূজার বাজেট মোট ১২ লক্ষ টাকা। ক্লাবের পূজাকে সেরা করে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জয়দীপ সুর, প্রিয়জিত দাস, পিকলু পাল, বিমল দাস, জয়ন্ত দেব।
সপ্তর্ষি ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নির্মল বণিক বলেছেন, ক্লাবের মন্ডপের উদ্বোধন করা হবে রবিবার সন্ধ্যা সাতটায়।
মন্ডপের উদ্বোধন করবেন করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সম্পাদক স্বামী রামভদ্রানন্দজি মহারাজ। উপস্থিত থাকবেন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল সহ অন্যান্যরা।
উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্ডপ। ভক্তদের মধ্যে দুইদিন প্রসাদ বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেছেন, কোনো পুরস্কার বা প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে পূজা আয়োজন করছে না সপ্তর্ষি ক্লাব। দর্শকরা ক্লাবের পুজো দেখে যাতে আনন্দ পান, এটাই মূল উদ্দেশ্য।