গণ আওয়াজ অনলাইন ডেক্স, ২০ অগাস্ট, শনিবার : স্বাধীনতা দিবসের দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারানসিতে হিন্দু রাষ্ট্রের সংবিধান প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বজোড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত ‘অখণ্ড ভারত’ গঠনের যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কা তার সার্বভোমত্ব হারাবে।
সংবিধানের প্রচ্ছদে রাখা হয়েছে গৈরিক পতাকা। যদিও এই পতাকা অখণ্ড ভারতের জাতীয় পতাকা হবে কি না তা এখন স্পষ্ট করা হয়নি।
মূল সংবিধান হবে ৭৫০ পৃষ্ঠার হবে বলে জানিয়েছেন শঙ্করাচার্য পরিষদের পীঠাধ্যক্ষ ও সভাপতি স্বামী আনন্দ স্বরূপ। তার মধ্যে ৩৫০ পৃষ্ঠা আগামী মাঘি পূর্ণিমার পেশ করা হবে।
দেখে নেওয়া যাক আর কি কি রয়েছে এই হিন্দু রাষ্ট্রের সংবিধানে –
১. অখণ্ড ভারতে বসবাসকারী মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের ভোটাধিকার থাকবে না। তবে ভোটাধিকার না থাকলেও এই দুই সম্প্রদায় অন্যদের মতো সব নাগরিক সুযোগ–সুবিধা ও অধিকার ভোগ করতে পারবেন।
2. অখণ্ড ভারতের রাজধানী হবে বারানসি, গড়ে তোলা হবে নতুন ধর্ম সংসদও।
৩। হিন্দু রাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সীদেরথাকবে ভোটাধিকার, তবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বয়স হবে ২৫। দেশ শাসিত হবে বর্ণ প্রথা অনুযায়ী।
৪। বাধ্যতামূলক প্রত্যেককে নিতে হবে, সামরিক প্রশিক্ষণ, কৃষিক্ষেত্র থাকবে আয়করমুক্ত।
৫। থাকবে না আমলের আইনের কোনো অস্তিত্ব, বিচারব্যবস্থায় থাকবে ত্রেতা ও দ্বাপর যুগে নিয়ম।
৬। শিক্ষাব্যবস্থায় আনা হবে জ্যোতিষচর্চা, গণিত, আয়ুর্বেদ। চর্চা হবে ভূগর্ভ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানেরও।
৭। জানতে হবে ভারতের প্রকৃত ইতিহাস। সিন্ধু–সরস্বতী সভ্যতার বয়স ৯ হাজার বছর হলেও ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের মতে সাড়ে তিন হাজার বছর। এই সভ্যতা সর্বগামী, সর্বত্র ছিল ব্যাপ্ত।
অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্রের সংবিধানের এই খসড়া প্রকাশের পরেই মোহন ভাগবত নতুন করে ‘অখণ্ড ভারত’ গঠনের দিনক্ষণ ঠিক করে দেন।
ভাগবত বলেন, যেসব দেশ ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তাদের সবাইকে নিয়েই গঠিত হবে হিন্দু রাষ্ট্র। যদিও হায়দরাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসি টিপ্পনী কেটে বলেছেন, আগে চীন ও পাকিস্তানের কবজা থেকে জমি উদ্ধার করে দেখান, তার পর না হয় অখণ্ড ভারতের কথা ভাবা যাবে।