গণ আওয়াজ অনলাইন ডেক্স, ২০ অগাস্ট, শনিবার : পাকিস্তানের ফোন নম্বর থেকে শুক্রবার রাতে মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলে মেসেজ! আজমল কাসভদের মতোই ৬ জঙ্গি ভারতে ঢুকে তাণ্ডব চালাবে।
এই মেসেজ আসার পরেই রীতিমতো সতর্ক হয়ে ওঠে বাণিজ্য নগরীর পুলিশ। কে এই মেসেজ পাঠাল, এই মেসেজের আদৌ কোনও সারবত্তা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত।
সূত্রের খবর অনুসারে ওই হুমকি মেসেজে লেখা হয়েছে ২৬/১১- হামলা, উদয়পুরে দরজি খুন বা পঞ্জাবে সিধু মুসেওয়ালা খুনের মতোই ভয়ঙ্কর কিছু করা হবে।
ছয় জঙ্গি চালাবে ভারতে হামলা এবং সেই হামলা হবে মুম্বইতেই। কিন্তু তদন্তে নামার পর চমকে ওঠার মতো তথ্য আসে মুম্বই পুলিশের হাতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, “মেসেজেই দাবি করা হয়, দেশের বাইরে থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীরা পরীক্ষা করে দেখেন পাকিস্তানের ফোন নম্বর থেকে এই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা এসেছে। আর এর পরেই বাড়তি
সতর্কতা নিয়ে নড়চড়ে বশে মুম্বই পুলিশ। শুরু হয়েছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত। হুঁশিয়ারি মেসেজের বিষয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্য সংস্থাগুলোকেও সতর্ক করেছে মুম্বই পুলিশ।
একাধিকবার সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয়েছে বাণিজ্যনগরী, তাই এই হুমকি মেসেজকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ প্রশাসন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার দাবি তুলেছেন মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পওয়ার।
২০০৮ সালে ২৬ নভেম্বর মুম্বইতে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা। ভারতের ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম এই জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের এবং আহত হন ৩০০-র বেশি মানুষ।
পাকিস্তান থেকে নৌকায় আরব সাগর পেরিয়ে মুম্বই এসেছিল আজমল কাসভ-সহ ওই জঙ্গিরা। তাজ হোটেল, ছত্রপতি শিবাজী বাস টার্মিনাস, ট্রাইডেন্ট হোটেল, লিওপোল্ড কাফে, নরিম্যান হাইস, কামা হাসপাতাল-সহ মুম্বইয়ের একাধিক এলাকায় হামলা চালায় তাঁরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড জেলার হরিহরেশ্বরে একাধিক AK-47-সহ নৌকা আটক হয়। সেই ঘটনায় অবশ্য সন্ত্রাসযোগ ছিল না বলেই দাবি করে পুলিশ।
সামনেই গণেশ চতুর্থী উৎসবের মরশুম, সেই দিকে নজর রেখেই জঙ্গি হামলার হুমকিকে হালকা ভাবে দেখতে নারাজ মুম্বই পুলিশ।