ইম্ফল, ৬ নভেম্বর : আসাম রাইফেলসের কর্নেল, তার পরিবার এবং চার জওয়ানকে হত্যার সাথে জড়িত মণিপুরের নিষিদ্ধ নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এমএনপিএফ) এর ২০ বছর বয়সী এক ক্যাডারকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, মাচুক্রিং জামশিম শিমরে ওরফে নিংখান নামে চিহ্নিত এমএনপিএফ ক্যাডারকে শনিবার মণিপুর পুলিশ, এনআইএ এবং আসাম রাইফেলস-এর একটি যৌথ দল অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে।
ইম্ফল পূর্ব জেলার একটি তেল পাম্পের কাছে ইয়াংগাংপোকপি জংশন থেকে শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ এমএনপিএফ-এর ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত নিংখান উখরুল জেলার নিউ-কানন গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা, তাকে এনআইএ-র ইম্ফল টিমের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবরে জানাগেছে।
এমএনপিএফ-এর ওই ক্যাডার বলেছে যে তিনি ২০১৬ সালে এমএনপিএফ-এর একজন রবার্টের মাধ্যমে দলে যোগ দিয়েছিল এবং মিয়ানমারের থুমলের ১৫৯ নম্বর সেনার অধীনে তিন মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
মাচুকরিং বর্তমানে একজন স্ব-শৈলীর কর্পোরালের পদে অধিষ্ঠিত এবং একই পোশাকের একজন স্ব-শৈলীর চেয়ারম্যান ফ্রান্সিসের অধীনে কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে, বিশেষ করে আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে একাধিক অতর্কিত হামলায় জড়িত ছিল, যার মধ্যে ২৯ জুলাই, ২০২০ খংতাল চান্দেল যেখানে তিনজন নিহত এবং ছয়জন আহত হন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এনআইএ, ইম্ফল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে ১৩ নভেম্বর, ২০২১ আসাম রাইফেলস (এআর) কমান্ডিং অফিসার ভিভপ্লাপ ত্রিপাঠি এবং তার পরিবার সহ কনভয় মণিপুরের চুরাচাঁদপুর জেলায় বিদ্রোহীদের আক্রমণের শিকার হয়।
এআর কমান্ডিং অফিসার এবং তাঁর পরিবার সহ সৈন্যরা নিহত হন।
অফিসারকে নিয়ে কনভয় যখন ইন্দো-মিয়ানমার সীমান্ত পিলার নং ৪৩ এর কাছে বেহিয়াং থানার অন্তর্গত এস সেকেন গ্রামের কাছে সেই সময় এই অতর্কিত হামলা করা হয়।
এই ঘটনায় একজন হাবিলদার, সিওর ড্রাইভার এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিমের তিন সদস্য সহ ছয় জওয়ানও হামলায় আহত হয়েছিলেন।
দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী–পিপলস লিবারেশন আর্মি ‘পিএলএ’ এবং মণিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্ট ‘এমএনপিএফ’ এই হামলার দায় স্বীকারও করেছে। মণিপুর সরকার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব এনআইএ-র কাছে হস্তান্তর করেছিল।