দিল্লী, ১৪ নভেম্বর : দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। শ্রদ্ধা নামের এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আফতাব নামের এক ব্যক্তি।
মেয়েটিকে ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় আফতাব। প্রায় ছয় মাস আগের এই হত্যা মামলার তদন্তে নেমে মেহরাউলি থানার পুলিশ আফতাবকে গ্রেফতার করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, মুম্বাইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজের সময় তাদের পরিচয় হয় এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে আফতাব ও শ্রদ্ধা মধ্যে।
দু’জনের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। পরিবারের বিরোধিতার কারণে তারা পালিয়ে আসে দিল্লিতে। শ্রদ্ধার পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নিয়মিত তথ্য পেতেন।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেয়ের বাবা দিল্লি পৌঁছেন।
কিন্তু মেয়েকে না পেয়ে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ জানান। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ে মুম্বাইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করত। এখানে আফতাব নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা করে এবং তাদের বন্ধুত্ব খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্কেতে পরিণত হয়।
অভিযুক্ত আফতাব জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, সে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এরপর লাশ বাথরুমে নিয়ে যায় এবং শরীরকে ৩৫ টুকরো করে।
বাথরুমে দুর্গন্ধ ছড়ালে সে রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করে, শরীরের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়। প্রায় ১৭ দিন মেয়েটির দেহের টুকরো নিয়ে রোমে ছিল। প্রতিদিন একটা করে টুকরো বের করে নিয়ে ফেলেছে, লাশের সব টুকরো ছুঁড়ে ফেলার পর সে এই ঘর পাল্টে নেয়।