নয়াদিল্লী, ১৫ নভেম্বর : শ্রদ্ধা হত্যা মামলার অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা শ্রদ্ধাকে জীবিত প্রমান দেখানোর জন্য জুন পর্যন্ত বান্ধবীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিল বলে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।
গত ১৮ মে সংঘটিত ২৬ বছর বয়সী পালঘরের মেয়েটির নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেশ ব্যাপী ব্যাপক চর্চার সৃষ্টি করেছে।
প্রায় ৫ মাস পর ১৪ নভেম্বর দিল্লি পুলিশ পুনাওয়ালাকে গ্রেপ্তার করার পর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্ত তার পৈশাচিক অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
শ্রদ্ধার বাবা জানান, সে আমার সামনে স্বীকার করেছে যে সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছে। মেয়ে মারা গেছে জানার পর আমার অবস্থা ভালো না থাকায় আমি সবকিছু শুনতে পারিনি।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তারাও উত্তেজনাপূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করেছেন।
আফতাব শ্রদ্ধার ফোন ফেলে দিয়েছে, তার শেষ অবস্থান পুনরুদ্ধার করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ তার দেহ টুকরো টুকরো করতে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান করছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধা জীবিত থাকার ধারণা দেওয়ার জন্য জুন পর্যন্ত তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে আফতাব।
দিল্লি পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, দু’জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শ্রদ্ধাকে হত্যার পরও পূনাওয়ালা ডেটিং অ্যাপে বেশ কিছু নারীর সঙ্গে দেখা করতে থাকে।
মার্চ-এপ্রিল মাসে, দু’জন পাহাড়ি স্টেশনে যায়। কয়েকদিনের জন্য আবার হিমাচল প্রদেশেও গিয়েছিল এবং একসাথে ছিল। সেখানে তারা ছতরপুরে বসবাসকারী এক ব্যক্তির সাথে দেখা করে।
পুনাওয়াল্লা জানায়, রাত ২টায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় কালো ফয়েলে লাশের টুকরোগুলো নিয়ে যেত।
আফতাব যে ঘরে শ্রদ্ধাকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করেছিল সেই ঘরেই ঘুমাত। ফ্রিজে রাখার পর মুখ দেখত। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফেলে দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করেও করে।
এদিকে শ্রদ্ধার বাবা কন্যা হত্যাকারি আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া ঘটনার পেছনে ‘লাভ জিহাদ’ রয়েছে বলেও সন্দেহ করেছেন তিনি। শ্রদ্ধার বাবা বলেন, আমি আফতাবের মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। দিল্লি পুলিশের উপর আমার আস্থা আছে তদন্ত সঠিক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ।