মান্ডি ১ নভেম্বর : হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের সরকার হলে প্রথম সভাতেই ১ লাখ চাকরীর ব্যবস্থা করা হবে, কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্বাচনী প্রচারে মাণ্ডিতে ভোটারদেরকে টানতে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং ইন্দিরা গান্ধী দেশকে এক করতে কাজ করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। প্রিয়াংকা হিমাচলের সঙ্গে ইন্দিরার আধ্যাত্মিকতা, প্রেম ও স্নেহের সম্পর্কে কথাও তুলে ধরেন।
প্রিয়াংকা বলেন আমার দাদির কথা গ্রামে-গঞ্জে হয়, কিন্তু তার মৃত্যুর পর দেশের রাজনীতি পাল্টে গেছে। বর্তমান রাজনীতিতে অর্থ ও স্বার্থপরতা প্রাধান্য পেয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের নিজ জেলা মান্ডি থেকে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। বাবা ভূতনাথ মন্দিরে মাথা নত করার পর তিনি কপালে চন্দনের তিলক লাগান। এবং পরে ঐতিহাসিক প্যাডাল মাঠে পরিবর্তন প্রতিজ্ঞা মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন।
রাজ্যে বিজেপির প্রথা বদলানোর স্লোগান তুলে জয়রাম সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, স্বার্থপরতার রাজনীতির জন্য ঐতিহ্য বদলাতে বলা হচ্ছে। হিমাচলে পাঁচ বছর পর সরকার বদলানোর রেওয়াজ ভালো। ঐতিহ্য না পরিবর্তন করতে বলেন প্রিয়াংকা।
তিনি বলেন, হিমাচল একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রাজ্য। শিবরাত্রি, কুল্লু দশেরা এবং মান্ডির নটী লোকনৃত্য ছাড়াও দেশের প্রতি ভক্তির ঐতিহ্য রয়েছে। দেশের সীমানা রক্ষার জন্য এখানে সেনাবাহিনীর যুবকরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে।
দেশের অগ্রগতির জন্য লাখ লাখ কর্মচারী দিনরাত পরিশ্রম করে। লেখা-পড়া করে এগিয়ে যাওয়াই এখানকার ঐতিহ্য। এই সময় হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রতিভা সিংও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে দেবরথকে উপহার দেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তার ভাষণে মান্ডি রাজ্যের দুর্নীতিবাজ বজির নরোত্তমকে উল্লেখ করে তার সাথে বিজেপি নেতাদের তুলনা করেন। 1862 সালে দুর্নীতিবাজ বজির ছিলেন নরোত্তম। তিনি অন্যায়ভাবে খাজনা আদায় করতেন এবং শেষ পর্যন্ত জনগণ তাকে উৎখাত করে।
আজকের রাজনীতিও তাই। তাই ভোটারদেরকে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।
সোলানের পরে মান্ডিতেও প্রিয়াঙ্কা পুনর্ব্যক্ত করেছেন, পুরাতন পেনশন স্কিম হিমাচল প্রদেশে দেওয়া হবে। সরকারি দপ্তরে শূন্য পদ পূরণ করা হবে। প্রথম মন্ত্রিসভায় ওপিএস ও এক লাখ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হবে। পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ চাকরি দেবে কংগ্রেস। ৬৮০ কোটি টাকা স্টার্ট আপ ফান্ড এবং শূন্য শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। বিজেপি সরকারের আমলে সরকারি দপ্তরে ৬৩ হাজার পদ খালি থাকলেও কেউ চাকরি পাননি। এখানে প্রতিটি নিয়োগে কেলেঙ্কারি রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা।