জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৭ নভেম্বর : ফের করিমগঞ্জে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণের চাল। পোয়ামারায় এক গোদাম ঘর থেকে ৮৩০ ব্যাগ চাল জব্দ করেছে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে এগুলি জব্দ করেন।
বর্তমানে জব্দ হওয়া চালের ব্যাগগুলি করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্স লিমিটেড-এর গোদামে রাখা হয়েছে। চালগুলি গনবন্টনের হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগের ডিডিএস ধরমরাজ সিং চাল জব্দ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক সঞ্জয় গোস্বামী বলেছেন, চালের নমুনা এফসিআইতে প্রেরণ করা হবে। রিপোর্ট আসার পর এ নিয়ে থানায় মামলা করা হবে।
করিমগঞ্জ পোয়ামারায় রাজা ব্রিক্স-এর গোদাম ভাড়া নিয়েছিলেন রিপন নামের জনৈক ব্যক্তি। ওই গোদামঘর থেকেই মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার করা হয় ৮৩০ ব্যাগ চাল।
গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর রাতে ওই গোদামে হানা দেন খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগের সুপার এফ কাদের, পরিদর্শক সঞ্জয় গোস্বামী, সামসুল হক মাঝারভূঁইয়া। সঙ্গে সদর থানার পুলিশ এবং সিআরপিএফ ছিল।
রাতেই গোদাম সিল করা হয়। রিপন নামের ওই ব্যক্তিকে ফোন করেন আধিকারিকরা। তখন তিনি নাকি জানান গুয়াহাটিতে রয়েছেন।
এদিকে, বুধবার সকালে ফের ওই গোদামে যান বিভাগের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট জেকে বর্মন।
ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সিল খুলে ৮৩০ ব্যাগ চাল সেখান থেকে নিয়ে হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্স লিমিটেডের গোদামে নিয়ে রাখা হয়। প্রতিটি ব্যাগ ৫০ কেজির ছিল বলে জানা গেছে।
খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগের পরিদর্শক সঞ্জয় গোস্বামী ‘গণ আওয়াজ’কে বলেছেন, চালের নমুনা সংগ্রহ করে এফসিআইতে প্রেরণ করা হবে। এরপর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, গণবন্টনের চাল প্রায় সময়ই খোলা বাজারে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময় গণবন্টনের চাল অবৈধভাবে মজুত থাকার অভিযোগে সেগুলো জব্দ করা হয়েছিল।
এদিকে, পোয়ামারায় একটি গোদাম থেকে ৮৩০ ব্যাগ চাল উদ্ধার করার পর সেগুলো যথারীতি বাজেয়াপ্ত করেছে খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগ।
বিভাগীয় আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার বিষয়টি অবগত করেছেন জেলাশাসক মৃদুল যাদব এবং বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক বিপুল দাসকে। এদিন চালের নমুনা এফসিআইতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।