নয়াদিল্লী, ২৭ নভেম্বর : সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে প্রথম চার্জশিটে আবগারি বিভাগের দুই প্রাক্তন আধিকারিক সহ সাতজনকে অভিযুক্ত করেছে।
সিবিআই বিজয় নায়ার, অভিষেক বোইনপালি, সমীর মহেন্দ্র, অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাই, মুথা গৌথম এবং দুই সরকারি আধিকারিক- আবগারি বিভাগের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার কুলদীপ সিং এবং তৎকালীন আবগারি বিভাগের সহকারী কমিশনার নরেন্দ্র সিং-এর নামে চার্জশিট করেছে।
রাউজ এভিনিউ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আগামী দিনে সিবিআই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করতে পারে।
অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাই ও বিজয় নায়ারের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীর কাছে অভিযুক্ত আর্থিক সুবিধা আদায় করতেন।
অর্জুন পান্ডে একবার নায়ারের পক্ষে মহেন্দ্রর কাছ থেকে প্রায় ২-৪ কোটি টাকা বিপুল পরিমাণ নগদ সংগ্রহ করেছিলেন বলেও সিবিআই চার্জশীটে প্রকাশ করেছে।
সিবিআই এফআইআর-এ সিসোদিয়াকে এক নম্বর অভিযুক্ত করেছে।
সিবিআইয়ের এফআইআর আইপিসির ১২০-বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র) এবং ৪৭৭-এ (অ্যাকাউন্টের মিথ্যাচার) ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মদ ব্যবসায়ীদের ৩০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং লাইসেন্সধারীদের ইচ্ছামতো মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যা আবগারি বিধি লঙ্ঘন করেছে।
সিসোদিয়া এবং কয়েকজন মদ ব্যারন মদের লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অযৌক্তিক আর্থিক পরিচালনা এবং সরিয়ে দেওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল যাদেরকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, অর্ভা গোপী কৃষ্ণ, তৎকালীন কমিশনার (আবগারি) আনন্দ তিওয়ারি, তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার (আবগারি) এবং পঙ্কজ ভাটনগর, সহকারী কমিশনার (আবগারি)-র সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত এক্ষেত্রে সহায়ক ছিল। এখন পর্যন্ত সিবিআই এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।