মোস্তাফা এ মজুমদারের, হাইলাকান্দি, ২৯ নভেম্বর : পরিবর্তনকামী সরকারের আমলেও রাজ্যের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বেহাল দশা।
আলগাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মোহনপুর কম্যুনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা লাটে চলছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এলাকায় দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে।
মোহনপুর কম্যুনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা ফেরানো সহ নিয়মিত চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার দাবিতে সোমবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রবেশ পথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বনসাই ড্রিম ক্লাবের কর্মকর্তা সহ স্থানীয় নাগরিকরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মোহনপুর কম্যুনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা, নেই কোন এমবিবিএস চিকিৎসক, পর্যাপ্ত নার্স পর্যন্ত নেই। ইনডোর-এর বিছানা থাকলেও নেই বেডশীড।
অথচ হাসপাতালের ষ্টোর রুমে বেডশীড রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ইনচার্জ ডাক্তার হরেশ দাস।
তাছাড়া প্রতিদিনের ডিউটির তথ্য ফলকও টাঙ্গানো দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের জেনারেটর নষ্ট হয়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, মোহনপুর, বর্ণিব্রীজ গ্ৰান্ট, ভজন্তীপুর, চান্দপুর, পূর্ব সোনাপুর, ভটরবাজার সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মানুষ একমাত্র এই মোহনপুর কম্যুনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল।
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির জন্য এই হাসপাতালের এমন দুরবস্থা।
মোহনপুর কম্যুনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান তথা আলগাপুর-মোহনপুরের জেলাপরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম লস্কর সহ হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির উপরও বিক্ষুব্ধ হন বিক্ষোভকারীরা।
তারা বলেন জেলাপরিষদ নূরুল সহ পরিচালনা কমিটি এই হাসপাতাল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন।
পূর্বে বারবার বিভিন্ন দল সংগঠন সহ এলাকার সচেতন মহলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানোর পরও কোন সুরাহা মিলেনি বলে জানান তারা।
এবিষয়ে তারা বর্তমানে বরাকে থাকা রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেশব মহন্তের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শীঘ্রই এবিষয়ে বিহিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার হুংকার দেন বনসাই ড্রীম ক্লাব সহ স্থানীয় নাগরিকরা। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বনসাই ড্রিম ক্লাবের সভাপতি সরফ উদ্দিন মাঝারভূইয়া, সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর লস্কর এবং স্থানীয়দের পক্ষে ফুজায়েল আহমেদ বড়ভূইয়া, এমাজউদ্দীন, জামাল উদ্দিন বড়ভূইয়া, আব্দুল শুক্কুর, ফজল আমীন ও ইসতাক হোসেন প্রমুখ।