ভাইরাল, ৯ জানুয়ারী : ভোজপুরি গানের “অশ্লীলতা” নিয়ে প্রায়শই মানুষ অভিযোগ করে। এ নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। তবে যে কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে গানের ভালো-মন্দের ব্যাপারটা সাবজেক্টিভ।
ভোজপুরি সাহিত্য ও গানের ইতিহাসও এত গভীর যে তা থেকে ফিল্টার করে ভালো গানও তৈরি হয়েছে। এমনই একটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
হয়তো দুটি কারণে। একটি গানের কথার কারণে এবং অন্যটি গায়কের কারণে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একটি ভিডিও। ভিডিওটি লকআপের ভেতরের। একজন বন্দি একটি ভোজপুরি গান গাইছে।
গানটির কথা হলো- ‘দারোগা জি হো, চার দিন পিওয়া বা নাপাতা। মানে ইন্সপেক্টর, চারদিন ধরে নিখোঁজ। এই গানটি অনেক পুরনো। এটি মূলত ভোজপুরি শিল্পী পবন সিং গেয়েছিলেন।
কিন্তু লকআপে বন্দি কয়েদির কন্ঠে ভক্ত হয়ে ওঠে মানুষ। এত বেশি যে, অনেকেই তাকে ছেড়ে তার প্রতিভার সঠিক ব্যবহার করার আবেদন করতে শুরু করেন।
ভিডিওটি বিহারের বক্সারের সদর থানার। লকআপে দেখা যাওয়া ব্যক্তির নাম কানহাইয়া রাজ।
স্টেশন ইনচার্জ অমিত কুমার জানিয়েছেন, কানহাইয়াকে মদ খাওয়ার জন্য ধরা হয়েছিল। তিনি মূলত কৈমুরের বাসিন্দা।
গত ৬ জানুয়ারি তদন্তকালে পুলিশ তাকে চৌসা থেকে হেফাজতে নেয়। ওই দিনই লকআপের ভেতরেই গেয়েছিলেন এই গান।
গায়িকা মালিনী অবস্থি এই ভিডিওটি রিটুইট করে লিখেছেন, কি কর্কশ কন্ঠস্বর এবং শৈলী! আসল সঙ্গীত হ’ল যা হৃদয় থেকে বেরিয়ে আসে! যে শাস্তির জন্য সে দোষী? তার শিল্পকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
হিন্দি পাঠকরাও বুঝলেন এই গান। এ জন্য আমরা গানটির সারাংশ লিখছি। একজন মহিলা তার স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানাতে থানায় পৌঁছেছেন।
এতে তিনি পুলিশকে বলছেন, “শহরের প্রতিটি বাজারে খোঁজ করেছি, স্বামীকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি।
পরিদর্শক, স্বামী চার দিন ধরে নিখোঁজ। এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন। চিন্তা করে তাদের খুঁজে বের করুন। বাচ্চাটি তাদের জন্য বাড়িতে খাবার খাচ্ছে না। তারা কোথায় ভুলে গেছে জানি না।
তাদের বিচ্ছেদের বেদনা আমরা কিভাবে সইব? মনে হচ্ছে আমার স্বামী চলে গেছে। কলকাতায় (কলকাতা) চার দিন ধরে নিখোঁজ।
বন্দীর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ফের বিতর্ক শুরু হয় ভোজপুরি গানের ‘অশ্লীলতা’ ও ‘মিষ্টি’ নিয়ে। থানার ভিতরেই কানহাইয়া রাজের ভিডিও তৈরি করেন এক পুলিশকর্মী। তবে পুলিশ এখন জামিনে মুক্তি দিয়েছে কানহাইয়াকে।